দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার তুষারাবৃত মাটির তলা হতে নতুন এক রহস্যের সন্ধান পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা সেখান থেকে ৪৬ হাজার বছর পূর্বের এক মৃত হর্নড লার্ক পাখির মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন! তবে এই রহস্য নিয়ে মনে হয় এবার বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। তুষারের স্তুপের তলায় চাপা পড়ে থাকার কারণে এতো বছরেও পাখির শরীরে তেমন কোনো পচন তো ধরেইনি, বরং এমনভাবে সংরক্ষিত রয়েছে যে মৃতদেহ থেকে পাখিটির অক্ষতভাবে জিনগত তত্ত্বও উদ্ধার করতে পেরেছেন প্রাণী বিজ্ঞানীরা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার তুষারাবৃত মাটির তলা হতে নতুন এক রহস্যের সন্ধান পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা সেখান থেকে ৪৬ হাজার বছর পূর্বের এক মৃত হর্নড লার্ক পাখির মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন! তবে এই রহস্য নিয়ে মনে হয় এবার বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। তুষারের স্তুপের তলায় চাপা পড়ে থাকার কারণে এতো বছরেও পাখির শরীরে তেমন কোনো পচন তো ধরেইনি, বরং এমনভাবে সংরক্ষিত রয়েছে যে মৃতদেহ থেকে পাখিটির অক্ষতভাবে জিনগত তত্ত্বও উদ্ধার করতে পেরেছেন প্রাণী বিজ্ঞানীরা।
জিনগত তত্ত্ব হতে জানা যাচ্ছে, সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা ও মোঙ্গোলিয়ার স্টেপ তৃণভূমিতে আজকের যুগে বিচরণ করা হন্ড লার্ক পাখির সংমিশ্রিত পূর্বপুরুষ এই হর্নড লার্কের মৃতদেহটি।
কমিউনিকেশনস্ বায়োলজিতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে হন্ড লার্কের মৃতদেহের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন যে, শেষ তুষার যুগের সময় ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরাংশে বিস্তৃত এই তৃণভূমিতে একসময় দাপিয়ে বেড়াতো লোমশ ম্যামথ ও লোমশ গন্ডার পাখি।
গবেষকদের ধারণা মতে, সাইবেরিয়ার এই অঞ্চল প্রকৃতপক্ষে স্টেপ, তুন্দ্রা ও সরলবর্গীয় বনের সংমিশ্রনও ছিল। শেষ তুষার যুগের সমাপ্তিকালে এই অঞ্চলটি ৩ ভাগে ভাগ হয়ে যায়- উত্তরে তুন্দ্রা, মধ্যাংশে টাইগা ও দক্ষিণে ভাগ হয় স্টেপ তৃণভূমিতে। এই পাখির মৃতদেহ হতেই তারা বুঝতে পারবেন কীভাবে হর্নড লার্ক পাখির বিবর্তন ঘটেছিলো। আরও গবেষণা করলে হয়তো আরও অনেক অজানা রহস্য বের হয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।