দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যেনো বেড়েই চলেছে। আগের তুলনায় চীনে এতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমলেও বিপরীত চিত্র বাইরের দেশগুলোতে। ইতিমধ্যে ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে যে, গতকাল (শুক্রবার) দেশটিতে করোনা আক্রান্ত ৪৭ জন মারা গেছে। যার মধ্যে দুটি বাদে সবগুলোই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হলো হুবেই প্রদেশের। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৮৩৫ জন। সমগ্র বিশ্ব মিলে মোট মৃতের সংখ্যা ২৯২২।
চীনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৭ জন, যার মধ্যে প্রায় সবই হুবেই প্রদেশের। দেশটিতে এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ২৫১ জন।
চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এ পর্যন্ত ভাইরাস আক্রান্ত ৩৯ হাজার ২ জনকে তারা চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন।
বিশ্বের অন্তত ৫৪টি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই করোনা ভাইরাস। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে অন্তত ৮৭ জন কোভিড-১৯ রোগী মারাও গেছেন।
এদিকে ইরানে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে যে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। তবে এই খবর অস্বীকার করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন যে, সেখানে এই পর্যন্ত মোট ৩৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছে ৩৪ জন।
ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা হলো ইতালিতে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮৮৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে ২১ জন।
এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ায় শুক্রবার নতুন করে ৫৯৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৩১ জন, যা চীনের বাইরে সর্বোচ্চতম। এ পর্যন্ত দেশটিতে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬ জন।
চীন থেকে ফেরার পর মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খলতমা বাতুলগা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সগবাটার দামদিনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে (ভাইরাস সংক্রমণরোধে আলাদা রাখা) পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম মন্তসেম। তাদের সঙ্গে সফর করে আসা অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও একইভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
সব মিলিয়ে যতোই দিন যাচ্ছে করোনা আতঙ্ক ততোই বাড়ছেই। এখনও এই ভাইরাস মোকাবিলা করতে পারছে না বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ইতিমধ্যে এটিকে ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।