দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘোরার জন্য বান্দরবান একটি আদর্শ জায়গা তাতে সন্দেহ নেই। এই জেলার বেশ কিছু সুন্দরতম জায়গা রয়েছে সেখানে আপনি অবসর সময় কাটিয়ে আসতে পারেন- এর মধ্যে একটি হলো মিলনছড়ি। ঘুরে আসুন বান্দরবানের মিলনছড়ি।
অ্যাডভেঞ্চার হোক বা অবকাশ যাপন হোক বান্দরবান জেলা পর্যটকদের কাছে আপন রূপের মহিমায় ব্যাপক জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ স্থান হলো মিলনছড়ি। অপার প্রকৃতির হাতছানি ছাড়াও বান্দরবানে বসবাসকৃত ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আচার-আচরণ, সংষ্কৃতি ও বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় উৎসব পর্যটকদের পাহাড়ি কন্যা বান্দরবানে সকলকে টেনে নিয়ে যায়। প্রকৃতির রঙে রাঙা বান্দরবান শহর হতে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে নয়নাভিরাম সবুজের কোলে অবস্থিত এই মিলনছড়ি। তেমনি একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান এটি। পাহাড়ি রাস্তা, দিগন্তজোড়া সবুজ ও সাঙ্গু নদীর মোহনীয় সৌন্দর্য যেনো কল্পনায় আঁকা এক নান্দ্যনিক তৈলচিত্র মনে হবে আপনার কাছে।
যাবেন কিভাবে
যদি বান্দরবানের শৈলপ্রপাত, নীলগিরি বা চিম্বুক পাহাড় আপনার ভ্রমণ তালিকায় থেকে থাকে তাহলে মিলনছড়ি দেখার জন্য আলাদা ভাবে ভাবনার কোনোই প্রয়োজন নেই। শৈলপ্রপাত, নীলগিরি এবং চিম্বুক পাহাড় যাওয়ার পথে সাময়িক বিরতি দিয়ে উপভোগ করতে পারবেন মিলনছড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
ঢাকা হতে সরাসরি বাসে বান্দরবান যাওয়া যাবে। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা হতে শ্যামলি, সৌদিয়া, ইউনিক, এস. আলম, সেন্টমার্টিন পরিবহন এবং হানিফ ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দারবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি এসব বাসের ভাড়া যথাক্রমে নন এসি ৫৫০ টাকা এবং এসি ৯৫০ টাকার মতো। রাত ৯-১০টায় রওনা দিলে সকাল ৭টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন বান্দরবানে। এছাড়াও ট্রেন বা এয়ারে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়েও সেখান থেকে বান্দরবান যেতে পারবেন অনায়াসে।
সেক্ষেত্রে চট্টগ্রামের বদ্দারহাট হতে পূবালী এবং পূর্বানী নামের দুটি বাস বান্দারবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এই দুটি বাসেই জনপ্রতি ২২০ টাকা ভাড়া লাগবে।
বান্দরবান জেলা শহরের রুমা বাস স্ট্যান্ড হতে স্পেশাল বাস সার্ভিস বা চাঁদের গাড়ি ভাড়া করেও শৈলপ্রপাত, নীলগিরি বা চিম্বুক পাহাড় যাওয়ার পথে মিলনছড়ি দেখতে পারবেন আপনি।
থাকবেন কোথায়
মিলনছড়িতে হিল সাইড রিসোর্টের (ফোন: 01556-539022, 01730-045083) রাতেও থাকতে পারবেন। এছাড়াও বান্দরবান জেলা শহরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু আবাসিক হোটেল এবং রিসোর্টও রয়েছে। এসব হোটেল এবং রিসোর্টে সময়ানুপাতে ৬০০ হতে ৩ হাজার টাকায় রাতে থাকতেও পারবেন।
তথ্যসূত্র: https://vromonguide.com