দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুরু হয়েছিল চীনে, তারপর মহামারি হয়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। সংক্রমণ ছড়িয়ে ইতালিতে একদিনেই প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ।
এদিকে ভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এবার মহাবিপদ সংকেত। এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, মহামারির পরবর্তী কেন্দ্র হতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, ‘আমরা দেখছি, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা খুব দ্রুত গতিতেই বাড়ছে। তাই দেশটি বৈশ্বিক এই মহামারির পরবর্তী কেন্দ্র হওয়ার আশঙ্কা প্রবল আকার ধারণ করেছে।’
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট এর সর্বশেষ তথ্য মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৬০৯ জন। সেখানে একদিনেই সংক্রমিত হয়েছে ৯ হাজার ৯২১ জন। ইতিমধ্যে দেশটিতে মারা গেছে ৬৯৮ জন।
অপরদিকে স্পেনের পরিস্থিতিও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানেও মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৬৮০ জনের।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম তাদের হাতে নেই। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেন, ‘মাস্ক ও ভেন্টিলেটরের বৈশ্বিক বাজার অভাবনীয় পর্যায়ে রয়ে গেছে। অঙ্গরাজ্যগুলোকে চিকিৎসা সরঞ্জাম পেতে আমরা সাহায্য করে যাচ্ছি, তবে এটি খুব সহজ নয়।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা যখন তাদের নাগরিকদের ঘরে থাকার আহ্বান করে আসছে, টিক তখন ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার বলেন, ‘আমাদের দেশ কখনও শাটডাউন থাকার জন্য সৃষ্টি হয়নি।’ তিনি একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে অর্থনীতিকে পুরোদমে চালু করা হবে বলেও মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি হলো নিউইয়র্কে। সেখানে প্রতি দিন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে পড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৬৬৫। নতুন ৫৩ জনসহ এই পর্যন্ত মারা গেছে ২১০ জন।
নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুওমো চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, ‘নিউইয়র্কে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ‘বুলেট ট্রেনের’ গতিতে।’
সংকট মোকাবিলায় ফেডারেল সরকার পর্যাপ্ত জীবনরক্ষার সরঞ্জাম পাঠায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুওমো।