দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো বিশ্বে প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। সারা বিশ্বে ১২ লক্ষ মানুষ এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। প্রাণ হারিয়েছেন ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ। এখনও এখনও কিছু দেশ করোনায় আক্রান্তি হয়নি।
করোনায় কেও আক্রান্ত এমনই একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র হলো পালাউ। প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর অংশে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি। এ রাষ্ট্রটির জনসংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার হলেও এখনও সেখানে একজনেরও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আসলে এই দ্বীপের মাইল খানেকের মধ্যে আর কোনও মনুষ্য বসতিই নেই। সেই কারণেই এখনও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হতে মুক্ত রয়েছে পালাউ। এছাড়াও করোনার থাবা এখনও পড়েনি মাইক্রোনেশিয়া, মার্শাল আইল্যান্ড, সলোমন আইল্যান্ড।
তবে আশপাশে কোনও জনবসতি না থাকলেই করোনা আসবে না, এমনটি নাও হতে পারে। পালাউ দ্বীপের উত্তরে অবস্থিত মারিয়ানা দ্বীপ। মূল ভূখণ্ড হতে অনেক দূরে থাকলেও, এখানে করোনা ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়ে ফেলেছে। সেখানে গত সপ্তাহেই একজনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে উঠে আসে। তারপর সেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যুও ঘটেছে।
এতে করে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পালাউয়ের বাসিন্দারা। সেখানে এখনও করোনা পজিটিভ কেও না হলেও এক ব্যক্তির মধ্যে কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তাকে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তার লাল রসের পরীক্ষার ফলের অপেক্ষা রয়েছেন সবাই। তবে ইতিমধ্যেই সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সকলেই খাদ্য সামগ্রী কেনার জন্য দোকানে লাইন দিচ্ছেন। কিনছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বা সাবান।
অপরদিকে বাইরে থেকে যাতে কেও এই দ্বীপে যাতে না আসতে পারেন, সেই জন্য মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তবে এতে অন্য একটি সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ছোট্ট দ্বীপ পালাউয়ের নিজস্ব রিসোর্স নেই বললেই চলে। বাইরে থেকেই সবকিছু আমদানি করতে হয়। তবে বাইরের জাহাজ বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর সেখানে যে খাদ্যসংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই আশঙ্কাই করছে এই দ্বীপ প্রশাসন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।