দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হয়েছে পুরো বিশ্ব। প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে এগিয়ে এসেছেন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান। এবার এগিয়ে এলেন টুইটার সিইও জ্যাক ডরসে।
নিজেদের মতো করে ভাইরাসের মোকাবিলায় সামিল হচ্ছেন বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বরা। এই প্রেক্ষিতে যে যার মতো করে অনুদান দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য সাহায্য করছেন তাদের সরকারকে। এই প্রেক্ষিতেই এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে বড় অনুদান দিলেন টুইটার সিইও জ্যাক ডরসে। কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি দান করেছেন ১ বিলিয়ন ডলার।
টুইট করে নিজেই এই অনুদান সম্পর্কে সকলকে জানিয়েছেন জ্যাক। সেইসঙ্গে তিনি এও বলেন, যে টাকা তিনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দান করছেন তা তাঁর মোট সম্পত্তির ২৮ শতাংশ হবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ম্যাগাজিন ফোর্বসের তথ্য মতে, টুইটার সিইও জ্যাক ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক। বিগত কয়েক বছর ধরেই তিনি তাঁর চ্যারিটির তথ্য গোপন করে এসেছেন। এখন এই সংকটময় পরিবেশে আর কোন কিছুই গোপন রাখলেন না জ্যাক।
গত একদিনে প্রায় ২ হাজার মৃত্যু দেখতে হয়েছে আমেরিকাকে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যেনো সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রবল চাপে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসন। এই প্রেক্ষিতে টুইটার সিইও জ্যাকের এতোবড়ো অনুদান তাঁর দেশকে যে বিপুলভাবে সাহায্য করতে চলেছে তাতে কোনো রকম সন্দেহই নেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।