দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে সব কর্মকাণ্ড। সব ধরনের খেলাধুলা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে বিশ্বের সব দেশ। এবার বিশ্বের অন্যতম বড় স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী করোনার হাসপাতাল বানানো হলো।
করোনা পরিস্থিতিতে এসব স্টেডিয়ামকে কাজে লাগিয়েছে ইংল্যান্ড, ভারত ও ফুটবলের দেশ ব্রাজিলও। খেলা বন্ধে অকার্যকর হয়ে পড়া স্টেডিয়ামগুলোকে অস্থায়ী হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে করোনার প্রার্দুভাবে বিপর্যস্ত দেশ জার্মানি। দেশটির সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম ‘দ্য ওয়েস্টফালেন’কে অস্থায়ী করোনা হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে।
শনিবার হতে ওই স্টেডিয়ামে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন।
গণমাধ্যমটি আরও জানায়, নতুন করে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগীদের প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দ্য ওয়েস্টফালেস স্টেডিয়ামে পরীক্ষা করা হবে ও যথাযথ চিকিৎসাও দেওয়া হবে।
‘দ্য ওয়েস্টফালেন’ স্টেডিয়ামটি মূলত বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের একটি মাঠ। একে ‘সিগন্যাল ইদুনা পার্ক’ বলা হয়ে থাকে। করোনার জন্য স্টেডিয়ামটি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে শুক্রবার ডর্টমুন্ড ক্লাব আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা লিখেছেন যে, ‘শনিবার থেকে ফুটবল নয়; করোনারভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ব্যবহৃত হবে সিগন্যাল ইদুনা পার্কের উত্তর পাশের গ্যালারিটি। এখানে করোনা উপসর্গ থাকা মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ইতালি, স্পেন এবং ফ্রান্সের মতো জার্মানিতেও চলছে করোনার প্রচণ্ড তাণ্ডব। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এই পর্যন্ত জার্মানিতে ৯১ হাজার ১৫৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ২৭৫ জন মানুষ। সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৫৭৫ জন মানুষ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।