দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০ খৃস্টাব্দ, ১ জৈষ্ঠ্য ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২১ রমজান ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি হবিগঞ্জের শংকরপাশা শাহী মসজিদ। এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
হবিগঞ্জ জেলার রাজিউড়া ইউনিয়নে পঞ্চাদশ শতাব্দীর প্রাচীন শংকরপাশা শাহী মসজিদটি অবস্থিত। সুলতানী আমলের অন্যতম নিদর্শন এই মসজিদটি তৈরিতে পোড়ামাটির ইট ব্যবহার করা হয়। প্রায় ৬ একর জায়গা জুড়ে একটি টিলার উপর স্থাপিত লাল রঙের শংকরপাশা শাহী মসজিদটি স্থানীয়দের কাছে লাল টিলা মসজিদ হিসেবেও অধিক সুপরিচিত।
১৫১৩ সালে বিখ্যাত সুফি দরবেশ শাহ মজলিস আমিন (রা.) এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেলেও পরবর্তীতে মুসলিম স্বনামধন্য শাসনকর্তা সুলতান আলাউদ্দিন হোসাইন শাহের আমলে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়।
টেরাকোটার নকশাকৃত চমৎকার নির্মাণশৈলীর এই মসজিদ কালের বিবর্তনে এক সময় বিরান ভূমিতে পরিণত হয়। উক্ত এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠলে চাষাবাদের প্রয়োজনে এই মসজিদ আবিষ্কৃত হয়। এক চালা ধরণের চার গম্বুজ বিশিষ্ট শংকরপাশা শাহী মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ২১ ফুট ৬ ইঞ্চি। মসজিদের পূর্ব-উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দেওয়াল প্রায় ৫ ফুট ও পশ্চিমের দেওয়াল প্রায় ১০ ফুট পুরুত্ব। মসজিদের সামনের বারান্দাটির প্রস্থ প্রায় ৩ ফুটের মতো। মসজিদে প্রধান কক্ষের চারকোণে চারটি এবং বারান্দার দুই কোণে দুইটি সহ মোট ৬টি কারুকার্যখচিত স্তম্ভ ও ১৫টি দরজাও রয়েছে। এছাড়াও মসজিদের দক্ষিণ দিকে রয়েছে একটি বড় দিঘী। বর্তমানে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্রমেই মসজিদটির সৌন্দর্য ম্লান হতে চলেছে। বিশেষ দিনগুলোতে মসজিদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সমাগম ঘটে থাকে।
তথ্যসূত্র: vromonguide.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।