দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত ইস্যুগুলোর অন্যতম হলো ড্রোন বিমানের ব্যবহার। বিশ্বমোড়ল আমেরিকা বলে আসছে, সন্দেহভাজনদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি, মাদক নিয়ন্ত্রন ইত্যাদি কারণে তারা বিদেশের মাটিতে ড্রোন বিমান ব্যবহার করছে। এখন পর্যন্ত আমেরিকা তার নিজের দেশের মাটিতে ড্রোন ব্যবহার না করলেও সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় উড্ডয়ন বিষয়ক প্রশাসন তার নীতিমালায় বেশ কিছু পরবর্তন এনেছে যা আমেরিকার আকাশে ড্রোন বিমান উড়ানোর আইনগত বাধা দূর করবে। এছাড়া পরীক্ষামূলক কিছু ড্রোন ওড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় উড্ডয়ন বিষয়ক প্রশাসনের নেয়া এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কলোরাডো রাজ্যের ডিয়ার ট্রেইল নামের ছোট শহরটির বাসিন্দারা। ডিয়ার ট্রেইলের আকাশে যদি ড্রোন বিমান ওড়ে, তবে তা গুলি করে ভূপাতিত করার লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে তারা।
৫০০ বাসিন্দার ছোট শহর ডিয়ার ট্রেইলের বাসিন্দাদের নির্বাচিত ৭ জন জন প্রতিনিধি আগামী ৬ আগস্ট ডিয়ার ট্রেইলের আকাশে চলে আসা ড্রোন বিমান গুলি করে নামিয়ে দেয়ার লাইসেন্স পাশ করতে যাচ্ছে। শহরটির বাসিন্দাদের সহযোগিতায় লাইসেন্সটির খসড়াও এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। ড্রোন শিকারের এই লাইসেন্স পেতে খরচ করতে হবে ২৫ ডলার। আবার ড্রোন ভূপাতিত করা হলে ১০০ ডলার পুরষ্কারও রাখার বিষয় ভাবা হচ্ছে।
ডিয়ার ট্রেইল শহরের বাসিন্দা ফিলিপ স্টিল এই অভিনব ভাবনার পেছনের লোক। অধ্যাদেশটির খসড়াও তৈরি করেছেন তিনিই। বিষয়টি সম্পর্কে ফিলিপকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই প্রতীকী উদ্যোগ, যা আমাদের অধিকারের স্বপক্ষে নেয়া হতে যাচ্ছে। আমরা আমাদের আকাশের সার্বভৌমত্ব চাই। কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি বিনষ্ট করা যে দণ্ডনীয় অপরাধ সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ফিলিপ বলেন, ‘ড্রোন নজরদারি আমাদের সংবিধানের দেয়া ব্যক্তিস্বাতন্ত্র, সমানাধিকার ও গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের বিরোধী। আমি যখন সেনাবাহিনীতে ছিলাম, তখন আমি শপথ নিয়েছি যে আমি সংবিধানকে রক্ষা করবো।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল নাগাদ আমেরিকা যেনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিজভূমিতে ড্রোনের ব্যবহার শুরু করতে পারে, তাই কেন্দ্রীয় উড্ডয়ন বিষয়ক প্রশাসন পরীক্ষামূলকভাবে চালকবিহীন ড্রোন বিমান ঘোষণা দেয় ।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল