দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন সরকার গঠিত হতে যাওয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকারি সুবিধা না থাকার কারণে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে।
গুলশানের বাসভবন ঘিরে নিজস্ব নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এখন থেকে দলীয়ভাবেই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য গতকাল বৃহস্পতিবার এ বাসভবনের চারদিকে স্থাপিত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাগুলো মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় সেখানে বিএনপি না থাকায় এবং জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ায় সে ক্ষেত্রে সরকার নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে তাঁকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে- এ রকম আশঙ্কার কথা মাথায় নিয়ে খালেদার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গত রবিবার থেকে নানা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই বাসভবন পাহারার জন্য ২২ জন আনসার সদস্য চেয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ আবেদন করেন সরকারের কাছে।
বেগম খালেদা জিয়ার সরকারি প্রটোকল টিম গতকাল রাত পর্যন্ত তাঁর বাসায় উপস্থিত ছিল। তবে বাইরের নিরাপত্তা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বাইরে নিযুক্ত ছিল মাত্র ৪ জন পুলিশ।
ইতিপূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশঙ্কা ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানিয়ে গত দুই সপ্তাহ নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল বেগম জিয়ার গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ‘ফিরোজা’ ভবনে। সেই নিরাপত্তা কমিয়ে গত দুই দিনে সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমানো হয়েছে পুলিশ; সরানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যারিকেডও। সেখানে এখন একেবারেই নর্মাল নিরাপত্তাব্যবস্থা- মাত্র ৪ জন পুলিশ সদস্য বসে আছেন বাড়ির সামনের নিরাপত্তা চৌকিতে।
উল্লেখ্য, ২৩ বছর পর এবারই সরকারি সুবিধা থেকে দূরে থাকছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সাল থেকে হয় প্রধানমন্ত্রী অথবা বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে পাওয়া সরকারি সুযোগ-সুবিধা হারালেন খালেদা জিয়া।