দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লাদাখে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন ভারতীয় সেনা নিহত এবং শতাধিক সেনা আহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বহুগুণ বেড়ে গেছে।
চীনা পক্ষেও অন্তত ৪৩ সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি ভারতের। তবে এই বিষয়ে চীনা কর্তুপক্ষ স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি এখন পর্যন্ত।
সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যায়। তবে প্রশ্ন হলো হঠাৎ কেনো এমন সংঘাতে জড়ালো দু’দেশের সেনাবাহিনী? বুধবার জানা যায়, কিভাবে শুরু হয়েছিল সেদিনের সংঘর্ষ।
সমুদ্রপৃষ্ঠের ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত গালওয়ান নদীর উপত্যকায় চীনারা একটি তাঁবু বানায়। গত ৬ জুন দুই দেশের সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকে স্থির হয় যে, চীন ওই তাঁবুটি সরিয়ে নেবে। সোমবার বিকালে ভারতীয় সেনা ওই তাঁবু সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলো। তখন চীনা সেনারা ভারতীয় সেনার কর্নেল বি এল সন্তোষকে আক্রমণ করে বসে। ওই সময় দুই দেশের সেনার হাতেই ছিল ব্যাটন এবং কাঁটা লাগানো রড। ভারতীয় সেনা সন্তোষ বাবুকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে মারপিট শুরু হয়ে যায়। দু’পক্ষই আরও সেনা ডেকে পাঠায়। মোট ৬’ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এই সময় কয়েকজন সৈনিক নদীতেও পড়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনারা জানায়, চীনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন কর্নেল এবং দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যায় আরও একটি বিবৃতিতে জানানো হয় যে, সংঘর্ষে আরও ২০ জন গুরুতর আহত হন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে তারা মারা গেছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘গালওয়ান উপত্যকায় আমাদের কয়েকজন সেনা মারা গেছে। তারা চরম সাহসীকতা এবং আত্মত্যাগের পরিচয়ও দিয়েছেন। জাতি তাদের এই আত্মত্যাগ কখনও ভুলবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর গত বুধবার চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে কথা বলেন। তিনি পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, চীনারা সুপরিকল্পিতভাবেই আমাদের সেনাদের ওপরে হামলা চালিয়েছে। এতো মানুষের মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এদিন বলেন যে, তিনি জাতিকে আশ্বাস দিতে চান যে, জওয়ানদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না। ভারত সব সময় শান্তি চায়। তবে কেও যদি তাকে উস্কানি দেয়, তাহলে উপযুক্ত জবাবও দিতে জানে।
এদিকে চীন থেকে বলা হয়েছে, যারা এই অনাকাঙ্খিত সংঘর্ষের জন্য দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। দুই দেশের নেতারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরাও তা মেনে চলবো।
তথ্যসূত্র: deshebideshe.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।