ছায়াপথে আরও ৩৬ সভ্যতার সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানীদের গবেষণার যেনো শেষ নেই। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। অনেক সময় উন্মোচিত হচ্ছে অনেক রহস্য। তারা পেয়েছেন, আমাদের ছায়াপথে আরও ৩৬ সভ্যতার সন্ধান!

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গত শতাব্দীর সাতের দশক হতেই ভিনগ্রহীদের নানাভাবে খোঁজ করে আসছেন মানবসভ্যতা। এবার মনে হয় তার সফলতা মিলছে। এই প্রথম কোনও গবেষণায় জানা গেছে, আমাদের মতো আরও অন্তত ৩৬টি সভ্যতা রয়েছে এই মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে! যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারি সহজেই। আবার তারাও পারে। সেই ভিনগ্রহীরা বেশ বুদ্ধিমানও। সেই সব সভ্যতাও বেশ উন্নততর।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ গড়ে তোলা সম্ভবও হতে পারে। আবার সেই ভিনগ্রহীরাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হলে অন্তত ৬ হাজার ১২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

Related Post

এই বিষয়ে সহযোগী গবেষক ব্রিটেনের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার কনসেলিস বলেছেন যে, “মহাবিশ্বে আমরা ছাড়াও বুদ্ধিমান প্রাণীর উন্নত সভ্যতা আরও বেশ কয়েকটি রয়েছে, যাদের সঙ্গে আমরা হয়তো যোগাযোগ গড়‌ে তুলতে পারি, এই প্রথম তার একটা আন্দাজ পাওয়া গেছে। যা আমাদের সভ্যতার কয়েক হাজার বছরের প্রশ্ন ছিল ও যে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর এর আগে কখনও মেলেনি। সে জন্যই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা।’’

১৯৬১ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্ক ড্রেক এই প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টাও করেছিলেন। তিনি ‘ড্রেক ইক্যুয়েশন’ নামে একটি বিখ্যাত সমীকরণও দিয়েছিলেন এই বিষয়ে। ওই সমীকরণের সমাধানের জন্য ৭টি মাত্রা বেছে নেন ড্রেক। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো, কোনো গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ বছরে গড়ে কতোগুলো নতুন নক্ষত্র জন্মাচ্ছে। কোন সময়সীমার মধ্যে ভিনগ্রহীদের পাঠানো সঙ্কেত আমাদের কাছে এসে পৌঁছাতে পারে।

তবে ড্রেক ইক্যুয়েশন যে সমাধান দিয়েছিল সেটি হলো, তার ফলাফলের ব্যাপকতাই একটি সমস্যা ছিল। ওই সমীকরণ অনুযায়ী ভিনগ্রহীদের কোনো সভ্যতা যেমন নাও থাকতে পারে, আবার তেমনই কয়েকশো কোটি সভ্যতাও থাকতে পারে। যা ছিল একটি অনিশ্চয়তামূলক। যে কারণে, ভিনগ্রহীদের সভ্যতা নিয়ে আমাদের কোনো সমাধান তো হলোই না বরংচ কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই আমরা ওই সমীকরণটি পরিমার্জন, পরিবর্ধনও করেছি’’। এমনটাই বলেন কনসেলিস।

মজার বিষয় হলো সেই গবেষণাকে পরিমার্জিত করতে গিয়ে গবেষকরা দেখলেন যে, এই মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতেই পৃথিবীর মতো অন্যান্য গ্রহে অস্তিত্ব রয়েছে এক বুদ্ধিমান প্রাণীর। তাদের সভ্যতা আমাদের মতোই উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের থেকেও উন্নত হতে পারে তাদের সভ্যতা!

গবেষকদের ধারণা মতে, বুদ্ধিমান প্রাণীর জন্ম এবং বিকাশের প্রক্রিয়া যদি বিজ্ঞানসম্মত হয়ে থাকে, তা যদি আমাদের জানা বিজ্ঞানের নিয়মে হয়ে থাকে, অপ্রত্যাশিতভাবে যদি তারা অন্য কোনো নিয়মে উদ্ভব না হয়ে থাকে, তাহলে ভিনগ্রহীদের আরও অনেক সভ্যতা রয়েছে সেটি প্রায় নিশ্চিত। তাদের চেহারা তেমন উদ্ভট কিছু নয় যে, আমরা তা দেখে ভয় পাবো। বরং পৃথিবীতে প্রাণের বিবর্তনের নিয়ম মেনে চললে তারাও অনেকটা আমাদেরই মতোই দেখতে হবে। এই সব নিয়ম মেনে চললে এই মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতেই এমন ৪টি হতে ২১১টি সভ্যতা বিদ্যমান। যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারি অনায়াসে। আবার তারাও পারে। খুব কম হলেও সেই সংখ্যা ৩৬।

আমাদের সবচেয়ে কাছে থাকা এমন সভ্যতাটি আসলে কী হতে পারে, তারও হিসাব দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়। বলা হয়েছে যে, “বুদ্ধিমান ভিনগ্রহীদের এমন উন্নত সভ্যতা আমাদের থেকে কম করে হলেও ১৭ হাজার আলোকবর্ষ (এক বছরে শূন্য স্থানে আলো যে পথটি অতিক্রম করে) দূরে রয়েছে।’’

সব মিলিয়ে বলা যায়, গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো অনেক কিছুই জানতে পারবে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।

This post was last modified on জুন ২৩, ২০২০ 1:20 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

চমক দেখাতে আসছে ‘পুষ্পা-২’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…

% দিন আগে

পাহাড়ি রাস্তায় লাফিয়ে চলা মেয়েটির ছবিতে কী কী পরিবর্তন আছে তা বলতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…

% দিন আগে

সিলেটের সাদা পাথর: এক অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

গরমে করলার সঙ্গে কয়েকটি খাবার খেলে উপকার পাবেন না: কোন সেই খাবার?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…

% দিন আগে

হুমকির মুখে সফটওয়্যার এবং স্টার্টআপ খাতের উদ্যোগ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…

% দিন আগে

এবার মিউজিক ভিডিওতে তোরসা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহ আবদুল করিম এবং হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের…

% দিন আগে