দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাত সব সময়ই স্থাপত্য শিল্পে উচ্চাভিলাষী । এই দেশটির প্রতিটি শহরে বিশেষ করে রাজধানী দুবাইতে বিদ্যমান পৃথিবীর সর্বোচ্চ আধুনিকতার ছাপ। এবার তরা গড়ে তুলতে চাই ‘মঙ্গলের শহর’।
এবার বিশ্ববাসীকে পৃথিবীতেই মঙ্গলে বসবাসের অনুভূতি দিতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ের বাইরে মঙ্গলের মতো দেখতে শহরের নকশা করেছেন সেখানকার স্থপতিরা। এই খবর দিয়েছে গণমাধ্যম সিএনএন।
মঙ্গলগ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের যেনো শেষ নেই। তাই মঙ্গলগ্রহের মতো দেখতে লালগ্রহের আদলে আশ্চর্যজনক স্থাপত্য গড়তে চলেছে দুবাই প্রশাসন। এটির সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকবেন আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান নিজে। দুবাইর এই পরিকল্পনা গোটা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়কর উদ্ভাবন হবে।
মঙ্গলগ্রহে কল্পিত শহরগুলোয় মানুষের বসবাসের অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো, তা হাতে-কলমে দেখাতে চাইছেন তরা। ১ লাখ ৭৬ হাজার বর্গমিটার মরুভূমিতে ‘মার্স সায়েন্স সিটি’ নির্মাণ করবে দুবাই। যা প্রায় ৩০টি ফুটবল মাঠের সমান হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার।
দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন রশিদ মহাকাশ কেন্দ্র (এমবিআরএসসি) ‘বিজারকে ইঙ্গেল গ্রুপের’ স্থপতিদের মঙ্গলের শহরের নকশা করার অনুমোদন দিয়েছে। তারা থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে শহরের স্থাপনাগুলো তৈরি করেছেন।
‘মার্স সায়েন্স সিটি’ নামে মঙ্গলের এই শহরটি দেখতে অনেকটা সারি সারি গম্ভুজের মতোই মনে হবে। তবে ভূগর্ভস্থ ২০ ফুট দৈর্ঘ্যর কক্ষগুলো ক্ষতিকারক বিকিরণ এবং উল্কাপিণ্ড হতে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
ইঙ্গেল গ্রুপের অংশীদার জ্যাকব ল্যাঙ্গে বলেন, ‘ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে ভূগর্ভস্থ গুহায় স্কাইলাইটও থাকবে, যা অ্যাকোরিয়ামের মতোই হবে। চারদিকে মাছেরা সাঁতার কাটবে। পানির জানালাগুলো ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলোয় আলো প্রবেশ করার সময় বাসিন্দাদের বিকিরণ হতে রক্ষা করবে। তবে মঙ্গলে খোলা পরিবেশে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অক্সিজেন মোটেও নেই। তবে এখানে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবস্থা থাকবে।’
এই আশ্চর্যজনক স্থাপত্য প্রকল্পের জন্য প্রস্তুতি অনেক আগেই নিয়েছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, বিগত ২০১৭ সালে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে মঙ্গলগ্রহের মতো কলোনি গড়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেই পরিপ্রেক্ষিপ্তে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।