দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকেই পাবলিক পরিবহনে উঠতে চান না। সেজন্য সাইকেল, মোটরসাইকেল বা স্কুটারই বেছে নিচ্ছেন। তাদের জন্য সস্তায় ইলেকট্রিক স্কুটার এনেছে ভারতের জিমোপাই ইলেকট্রিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
এই স্কুটারটির নাম মিসো। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে যে, এটি ভারতের প্রথম ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ই-স্কুটার’। এই ই-স্কুটারটিতে রয়েছে একটি মাত্র সিট। তবে মালপত্র বহনের সুবিধার্থে একটি শক্তিশালী ক্যারিয়ারও রয়েছে এতে। যেটি ১২০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহনে সক্ষম!
এই ই-স্কুটারে রয়েছে শক্তিশালী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। মাত্র ২ ঘণ্টায় ব্যাটারির ৯০ শতাংশ চার্জ হয়ে যাবে। সংস্থার দাবি হলো, ফুল চার্জ দিলে টানা ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটবে এই স্কুটারটি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২৫ কিলোমিটারের মতো।
স্কুটারটি চালাতে কোনও রকম লাইসেন্সও লাগবে না। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে ভালো। অবশ্যই হেলমেট পরতে হবে।
ইতিমধ্যেই এই ই-স্কুটারের বুকিং শুরু হয়েছে। জুলাই মাস হতেই এটির ডেলিভারি দেওয়া শুরু করবে সংস্থাটি। জানা গিয়েছে যে, এই ই-স্কুটারের দাম ভারতে মাত্র ৪৪ হাজার রুপি। এখন বুকিং করলে দামের উপর ২ হাজার রুপির বিশেষ ছাড়ও পাওয়া যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।