দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস আক্রমণ করেছে পুরো দুনিয়ায়। চীন হতে ইতালি, স্পেন, আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে চলছে মৃত্যুর মিছিল। এবার এই করোনার মধ্যে অপু বিশ্বাসের ভিডিও বার্তা দিলেন সিঙ্গেল মাদারদের জন্য।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটছে এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে।পুরো বিশ্বজুড়েই বিপর্যয় নেমে এসেছে। বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে দিনকে দিন।
এতে করে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ পথের বাস্তুহারা মানুষের জীবন হয়ে পড়েছে অসহনীয়। এমন দিনে ভালো নেই সিঙ্গেল মাদাররাও। তাদের মনের কথা এবার তুলে ধরলেন ঢালিউড কুইন খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
এই বিষয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘সিঙ্গেল মাদার, এই কথাটার মধ্যে যেনো খুব একাকিত্ব মনে হয়। তবে আমার সারমর্মের কথা হলো ঠিক তার উল্টো। কারণ একটা মানুষ পৃথিবীতে অনেক কিছুই করতে আসে। যখন তার স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হয়, তখন অনেক কিছুই করার উপায় থাকে না।
সিঙ্গেল মাদার মানেই আমি কারো দায়িত্ব নিয়ে আছি। এটা অনেক গর্বের বিষয়। অনেক বড় এক মহামারি আমরা পার করছি। অনেক সমস্যায় ফেস করতে হচ্ছে আমাদেরকে।
সিঙ্গেল মাদারদের নিয়ে যেনো এই সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারা যেনো ক্ষুদ্র ব্যবসা করে তার সন্তানকে এবং পরিবারকে সাপোর্ট দিতে পারেন। আমাদের সঙ্গে একজন আপনজন যুক্ত হয়েছেন এটা আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের বিষয়। এখন মেয়েরা অনলাইনে বুটিকের কাজ করছে, রান্না করছে এগুলো দেখে আমার খুব ভালো লাগে। এরপরও সরকার যদি আমাদের পাশে দাঁড়ান, তাহলে আমরা আরও অনেক কিছুই করতে পারবো।’
মা ও ছেলেকে নিয়েই অপু বিশ্বাসের বসবাস। পুরো চার মাস স্বেচ্ছা গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে ছেলে আব্রাম খান জয় ও মা শেফালী বিশ্বাসকে বাইরের জগৎ দেখিয়েছেন অপু বিশ্বাস। এই ১২০ দিনে নিজে কয়েকবার বাইরে গেলেও মা ও ছেলেকে মুহূর্তের জন্যও বাইরে যেতে দেননি এই অভিনেত্রী। মা ও ছেলেকে নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকেন অপু বিশ্বাস।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ জুলাই তাদের নিয়ে বসুন্ধরার ভেতরেই কিছুক্ষণ ঘোরেন তারা। অপু বলেন, ‘করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হলেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। আমার মা ও ছেলেই তো আমার পৃথিবী। তাই তাদের নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকিও নিতে চাইনি। হঠাৎ সেদিন মনে হলো একটাবার হলেও বাসার নিচে নামুক ওনারা, নইলে মানসিকভাবে হয়তো ভেঙে পড়বে। অল্প সময়ের জন্য ছিলাম বাইরে। নানি-নাতি খুব মজা করেছে সেদিন।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।