দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে রাউটার খুবই প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাউটার থাকায় রাউটার কিনতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ভোগেন অনেকেই। জেনে নিন কেমন রাউটার কিনবে।
ডুয়াল ব্যান্ড রাউটার
এখন দেখা যায় বেশিরভাগ রাউটারগুলো সিঙ্গেল ব্যান্ড বা ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের যা সঠিকভাবেই স্ট্রিমিং করার জন্য মোটেও দক্ষ নয়। তবে আপনি যদি স্মূথ স্ট্রিমিং চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নেওয়া উচিত ডুয়াল ব্যান্ড রাউটার বা ৫ গিগাহার্টজ ব্যান্ডের রাউটার।
ক্লাউড সাপোর্ট
আপনি যদি বাসার বাইরে থেকে রাউটার কন্ট্রোল করতে চান তাহলে ক্লাউড সাপোর্টেট রাউটারই আপনাকে কিনতে হবে।
ডাউনলোড ম্যানেজার
আর আপনি যদি অনেক বেশি ডাউনলোড প্রেমী হয়ে থাকেন কিংবা আপনার যদি মাঝে-মধ্যেই অনেক বড় বড় ফাইল ইন্টারনেট হতে ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে ডাউনলোড ম্যানেজার ফিচার্স সমৃদ্ধ রাউটার কিনতে হবে।
ইউএসবি কানেকশন
ইউএসবি কানেকশন যুক্ত রাউটারগুলোতে ইচ্ছে করলেই আপনি ইউএসবি স্টোরেজ ডিভাইস কানেক্ট করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এফটিপি সার্ভার হোস্টও করতে পারবেন। স্ট্রিমিং কিংবা গেমিং আপনার পিসি হতে যদি কোনো কিছু আপনার বাসার স্মার্টটিভিতে স্ট্রিমিং অথবা গেম খেলতে চান তাহলেও অন্তত পক্ষে ৩০০ এমবিপিএস-এর রাউটার প্রয়োজন তা খেয়াল রেখে কিনতে পারেন।
বড় কাভারেজ
যদি বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসে পূর্ণ কাভারেজ পেতে চান, তাহলে আপনাকে ২-৮ এন্টেনা বিশিষ্ট শক্তিশালী রাউটার ব্যবহার করতে হবে। তবে কাভারেজের জায়গায় যদি বাঁধার পরিমাণ বেশি হয় যেমন দেওয়াল, জানালা ইত্যাদি থাকে তাহলে ১টির পরিবর্তে ২টি রাউটার আপনাকে কিনতে হবে। দ্বিতীয় রাউটারটিকে ওয়্যারলেস রিপিটার হিসেবে ব্যবহার করে পূর্ণ কাভারেজও পেতে পারেন।
দাম
বর্তমানে রাউটার ১,০০০ টাকা হতে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী যে কোনো ধরনের রাউটার আপনি ক্রয় করতে পারেন। তবে কেনার আগে দাম তুলনা করার ওয়েবসাইট বিডিস্টল.কম থেকে রাউটারের বর্তমান প্রাইজ আপনি জেনে নিতে পারেন। অনলাইনেও দেখে নিতে পারেন বিভিন্ন রাউটার সম্পর্কে। এখানে ক্লিক করুন: https://www.bdstall.com/wireless-router/
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।