দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পুরো দেশ অচল। মানুষের মন মানুষিকতা যেনো ক্রমশই বিধ্বংসি হয়ে উঠলেও পাখির জন্য কিছু করা সত্যিই অবিশ্বাস্য ঘটনা!
এমন কিছু ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটে যায় যে, তারপর আবারও মানুষ ও তার মানবিকতার উপর আমাদের বিশ্বাস ফিরে আসে। এই ঘটনাও সেরকমই একটি ঘটনা। গ্রামের কমিউনিটি সুইচবোর্ড-এর ভিতর বাসা বাঁধে একটি পাখি।
সেই বাসায় আবার ডিমও পেড়েছিল পাখিটি। একজন গ্রামবাসী প্রথমে সেটি দেখতে পান। তিনি ছবি তুলে সেটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেন। তার পরই গোটা গ্রাম হয়ে যায় অন্ধকার। এক-দুদিন নয়। টানা ৩৫ দিন গ্রামবাসীরা অন্ধকারে নিপতিত থাকলেন।
ভারতের তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা জেলার গ্রামে ঘটেছে এমন এক মানবিক ঘটনা। আসলে গ্রামবাসীরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, পাখির ডিম থেকে ছানা ফুটে বের না হওয়া পর্যন্ত ওই গ্রামে কোনো আলো জ্বালানো হবে না।
বুলবুলি পাখিটির বাসা ও ডিম বাঁচানোর জন্য টানা ৩৫ দিন গ্রামবাসীরা রাস্তার আলো জ্বালাননি। এই ভরা বর্ষায় গোটা গ্রামের লোকজন অন্ধকার রাস্তা দিয়েই চলাচল করেছেন নির্দিধায়। কারুপ্পুরাজা নামে এক কলেজ পড়ুয়া যুবক জানিয়েছেন, এই গ্রামে মোট ৩৫টি স্ট্রিটলাইট রয়েছে।
তবে তারা গত ৩৫দিন একটিও লাইট জ্বালাননি। কারণ সব সুইচ ওই কমিউনিটি সুইচবোর্ডে বিদ্যমান। মোবাইলের টর্চ, টর্চ লাইট ব্যবহার করেই গ্রামবাসীরা এই কদিন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছেন।
ওই গ্রামে মোট একশো পরিবার বসবাস করেন। সবাইকে বিষয়টি বোঝানো বেশ কঠিন হয়েছিল। কারণ সবার মানবিকতা বোধ এক রকম নয়। কেও কেও সামান্য পাখির বাসার জন্য এতোদিন ধরে অন্ধকারে চলাচল করতে প্রথমে রাজিই হচ্ছিলেন না।
তবে গ্রামের যুবক-যুবতীরা তাদের অনুরোধ করলে শেষ পর্যন্ত সবাই গড় রাজি হন। মূর্তি ও কার্তি নামে দুই ভাইয়ের উপর ছিল পাখিদের আচরণ লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব। তারা প্রতিদিন মা পাখি উড়ে গেলে একবার করে দেখে আসতেন ডিমগুলি ঠিক অবস্থায় রয়েছে কি না!
জিনিউজ এর এক খবরে বলা হয়েছে, তারপর একদিন ডিম ফুটে বাচ্চা বের হলো। এরপর সেই বাচ্চাগুলো বড় হতে থাকলো। গ্রামবাসীরাও অপেক্ষা করতে থাকেন। গ্রামবাসীদের কেও কেও পাখির বাসা পরিষ্কারও করে দিতেন। এভাবেই মানবিকতার এক চরমতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভারতের ওই গ্রামবাসীরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।