দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের অযোধ্যায় আলোচিত রামমন্দির নির্মাণ বিতর্কের অবসান ঘটে গত বছরের নভেম্বরে। এখন প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় স্বঘোষিত মুঘল উত্তরাধিকারী একটি সোনার তৈরি ইট দিতে চান!
এই আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মন্দির নির্মাণের জন্য ভূমিপূজার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ৩ আগস্ট হতে ৫ আগস্ট হওয়ার কথা সেই ভূমিপূজা উৎসব। শেষ দিনে সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এবার সেই মন্দির তৈরিতে নিজের অবদান রাখতে চান জনৈক স্বঘোষিত মুঘল উত্তরাধিকারী। শুধুমাত্র অবদান রাখাই নয়, মন্দির বানাতে মোদির হাতে একটি সোনার তৈরি ইট তুলে দিতে চান প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি নামে ওই স্বঘোষিত মুঘল উত্তরাধিকারী। সংবাদসংস্থা এএনআইকে এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, তিনি এক কেজি ওজনের একটি সোনার ইট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান। সেই ইট রামমন্দির নির্মাণে কাজে লাগুক বলেও তিনি আর্জি রেখেছেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপির বরাবরই দাবি করে আসছিলো অযোধ্যায় রামমন্দির ধ্বংস করে মসজিদ বানানো হয় মুঘল সম্রাট বাবরের আমলে। এনিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ ছিল। অবশেষে ওই জমি হিন্দুদের বলেই রায় দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। অন্যত্র ৫ একর জমিতে মসজিদ তৈরি হবে বলে রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তার পরেই অযোধ্যায় মন্দির তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়ে যায়। এবার সেই মুঘল সম্রাট বাবরেরই উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে দাবি করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন কথিত ব্যক্তি প্রিন্স ইয়াকুব।
প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি এর আগেও খবরে আসেন। বছর খানেক আগে তিনি দাবি করেছিলেন, মুঘলদের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার হাতেই তুলে দেওয়া হোক বাবরি মসজিদটির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব। এখন তার বক্তব্য হলো, ‘ভারতের হিন্দু ভাইদের প্রতি আমার অভিনন্দন। মন্দির নির্মাণের জন্য আমি যে এক কেজি ওজনের সোনার ইট দেবো বলেছিলাম তা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানিয়েছি যে, তার হাতেই আমি এই ইট তুলে দিতে চাই।’
তুসির কাছ থেকে এই ইট নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে অবশ্য রামমন্দির নির্মাণ ট্রাস্টের পক্ষ হতে এখনও তেমন কিছু জানানো হয়নি। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’ পূর্বেই জানিয়েছে যে, মন্দির নির্মাণে যে কোনো ধর্ম, সম্প্রদায়ের মানুষ পাশে দাঁড়াতে পারবে। সকলের দানই সাদরে গ্রহণ করা হবে। তার জন্য ধর্ম দেখা হবে না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।