রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য-প্রমাণ জাতিসংঘকে দিতে সম্মত ফেসবুক

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনে দেশটির সেনাবাহিনীর চালানো হত্যাযজ্ঞের তথ্য-প্রমাণ জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কর্তৃপক্ষকে দিয়ে সহায়তা করতে রাজি হয়েছে ফেসবুক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির প্রতিনিধি সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা নিধনের যে তথ্য ফেসবুকের কাছে রয়েছে, তদন্তের স্বার্থে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ টিমকে দিয়ে সহায়তা করবে বিশ্বের জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

ইতিপূর্বে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য প্রমাণের তদন্তে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কোনোভাবেই সহযোগিতা করছে না বলেই অভিযোগ করেন মিয়ানমারে নিয়োজিত জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কর্তৃপক্ষের প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ান।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ’ সংঘটিতের আলামত হাজিরের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেটি পালন করছে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, মিয়ানমারের সহিংসতা বাড়িয়ে তুলতে ফেসবুক মূল ভূমিকা পালন করে। ২০১৮ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীরি সংশ্লিষ্ট এমন ১৮টি অ্যাকাউন্ট ও ৫২টি পৃষ্ঠা সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও তাদের কাছে তথ্যগুলো সংরক্ষণ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।

তবে মিয়ানমারের স্বাধীন তদন্তকারীর সংস্থা রয়র্টাসকে জানিয়েছে যে, ফেসবুক ‘গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ’ সংক্রান্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ শেয়ার করেনি। ইতিমধ্যে তথ্য প্রমাণের প্রথম চালান তারা হাতে পেয়েছে বলেও নিশ্চিত করে।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অভিযুক্ত হয়েছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের তদন্তকারীদের অভিযোগ ছিলো, ঘটনার সময় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুক অন্যতম ভূমিকা রাখে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্যই সহিংস পরিস্থিতিকে আরও জোরালো করে তুলেছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

রোহিঙ্গা নিধনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। যদিও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য গাম্বিয়াকে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

গণহত্যা চালানোর দিনগুলোতে মিয়ানমারের কর্মকর্তারা কবে, কীভাবে কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, সেই বিষয়ে ফেসবুকের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলো গাম্বিয়া।

আদালতে ফেসবুকের পক্ষ হতে বলা হয়, গাম্বিয়ার অনুরোধ রাখলে সেটা মার্কিন আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী হবে। আইন অনুযায়ী ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এভাবে কোনও ব্যবহারকারীর তথ্য দেওয়া যায় না বলে দাবি করে ফেসবুক।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবেই হত্যা, গুম, ধর্ষণ, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জীবন বাঁচাতে ওই সময় আরও ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।