দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর অবশেষে চীনের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যে কারণে চীন ১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে ফ্রি দেবে।
বাংলাদেশের করোনায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে চীনের এই ভ্যাকসিন পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের বাংলাদেশ শাখা তথা আইসিডিডিআরবিকে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, ঠিকঠাকভাবে ট্রায়াল হয়ে গেলেই ওই ভ্যাকসিনের ১ লাখ ১০ হাজার ডোজ বিনামূল্যে পাবে বাংলাদেশ। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের নিয়ামক হিসেবে কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে এই নাভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে চীন।
নিউইয়র্ক টাইমসের বেইজিং ব্যুরোর প্রতিনিধি সুই-লি উই এক বিশেষ প্রতিবেদন হতে এইসব তথ্য জানা যায়। সুই-লি উই তার প্রতিবেদনে বলেছেন যে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে ট্রায়াল চালাবে চীনের এই সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানি।
উই আরও লিখেছেন যে, চীনা কোম্পানিটি বাংলাদেশকে ১ লাখ ১০ হাজার ডোজ ফ্রি ভ্যাকসিন দিতে রাজিও হয়েছে।
জানা গেছে যে, বাংলাদেশে এই সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সহায়তা করছে আইসিডিডিআরবি। বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের তুলনায় এই ফ্রি ভ্যাকসিনের পরিমাণ খুবই নগণ্য বলেই উল্লেখ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।