দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার অন্যতম হাতিয়ার হলো ফেস মাস্ক। এন৯৫, সার্জিক্যাল মাস্ক, কটন মাস্ক, প্রিন্টেড মাস্কসহ হরেক রকমের মাস্ক বাজারে পাওয়া যায়। তবে এবার বলা হচ্ছে করোনা আটকাতে পারে সিল্কের মাস্ক।
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে সবচেয়ে বেশি কার্যকরি মাস্ক আসলে কোনটি? প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই নিশ্চয়ই এন৯৫ মাস্কের কথায় বলবেন। তার থেকে কোনও অংশেই নাকি কম যায় না সিল্কের মাস্কও। এমনটিই দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
আমেরিকার সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বিস্তর গবেষণার পরই এমন তথ্য দিয়েছেন। তাদের দাবি হলোপ, শুঁয়োপোকার (যাকে আমরা পলু পোকা বলে জানি) কল্যাণেই সিল্কের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।
এই বিষযে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্যাট্রিক গুয়েরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিল্ক কাপড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান মজুদ রয়েছে। এর নেপথ্যের কারিগর হলো শুঁয়োপোকা।
শুঁয়োপোকার কল্যাণেই নাকি সিল্কের এতো গুণ। কারণ হলো শুঁয়োপোকারা তুঁত পাতা খেতে ভালোবাসে। তাতে প্রচুর পরিমাণে তামা থাকে। তামার সৌজন্যেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
অনেকেই এখানে আবার ভারত উপমহাদেশে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। তাদের দাবি হলো, যে কথা মার্কিন গবেষকরা এই করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে আবিষ্কার করলেন। তা বহুকাল ধরেই ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত রয়েছে।
আমেরকিান গবেষকরা নাকি, সূতি ও ফাইবার কাপড়ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন। তবে একমাত্র সিল্কের মধ্যেই এমন উপাদান তারা পেয়েছেন যা এন৯৫ মাস্কের মতো ক্ষতিকারক ভাইরাসকে প্রতিহত করতে সক্ষম। সেইসঙ্গে উপরি পাওনা সিল্কের নরম টেক্সচার। যে কারণে সিল্কের মাস্ক পরা খুবই আরামদায়কও বটে। এতে নি:শ্বাস নেওয়ারও কোনও সমস্যা হয় না।
হিন্দুস্থান টাইমস এর এক খবরে বলা হয়েছে, করোনার কারণে মাস্কের চাহিদা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। সকলের পক্ষেই এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করাও সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রেই আবার এই মাস্ক বেশ কষ্টকরও। অনেকের এই মাস্ক নি:শ্বাস নিতে সমস্যা হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে বিকল্প হয়ে উঠতে পারে সিল্কের মাস্ক। এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০ 4:43 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…