দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনো কাজেই আসছে না ডিজিটালি দেয়া আইএসবিএন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এর সুফল পেতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটালি দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক মান পুস্তক সংখ্যা (ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড বুক নাম্বার: আইএসবিএন)। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে আর্কাইভস এবং গ্রন্থাগার অধিদফতর এটি দিচ্ছে। তবে ইন্টারনেট ঘেঁটে এসব নম্বরের বইয়ের কোনো তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ বলেছে, ডিজিটালি সরবরাহ করা নতুন আইএসবিএন’র সুফল পেতে হলে আরেকটু সময় লাগবে।
আইএসবিএন পদ্ধতি হলো যে কোনো ধরনের বইয়ের বারকোড চিহ্নিতকরণের অনন্য সংখ্যায়ন পদ্ধতি। এই নম্বরকে বিশ্বের সব বই সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়ে থাকে। আইএসবিএন নম্বর যেসব কারণে জরুরি তারমধ্যে বইয়ের হিসাব রাখা, বিশ্বব্যাপী পরিচিতি, বই বিক্রির ক্ষেত্রে সুবিধা, অন্য দেশে বইটি বিক্রি করা, জাতীয় ক্যাটালগে এর অন্তর্ভুক্তি, বিবলিওগ্রাফিক তথ্য সঠিক রাখা, মেশিন-রিডেবল হওয়ায় ভুলভ্রান্তি এড়ানো।
এতোদিন আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা হতে যেসব বই প্রকাশ করা হতো তার আইএসবিএন ম্যান্যুয়ালি তৈরি করে সরবরাহ করতো সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আর্কাইভস এবং গ্রন্থাগার অধিদফতর। এসব নম্বর দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেও কোনো তথ্যই পাওয়া যেতো না। গত বছরের শেষদিক হতে টেলিটকের মাধ্যমে ডিজিটালি আইএসবিএন সরবরাহ করছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
করোনার কারণে ২০২০-এর পুরো সময় বই প্রকাশ তেমন না হওয়ায় এটির কার্যকারিতা ঠিক সেভাবে পরিলক্ষিতও হয়নি। তবে আসছে বছর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই প্রচুর আইএসবিএন নম্বর ডিজিটালি সরবরাহও করা হচ্ছে। তবে ইন্টারনেট ঘেঁটে এসব নম্বরে দেওয়া বইয়েরও কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদফতরের উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই নিয়ে আমরা দিনরাত কাজ করে চলেছি। নতুন নতুন সমস্যা সামনে আসছে, সেগুলো সমাধানও করছি। অচিরেই গুগলের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।
বর্তমানে isbn.teletalk.com.bd-এর মাধ্যমে আইএসবিএন ডিজিটালি সংগ্রহ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রকাশক, লেখক এবং বই- এ তিন ক্যাটাগরিতে আবেদন করে আইএসবিএন নেওয়া যায়। আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেওয়া হয় তা। প্রতিটিতে খরচ পড়ে মাত্র ৫৬ টাকা।
দেশের প্রায় সব লেখক-প্রকাশকই আইএসবিএন নম্বর সংগ্রহ করে বই প্রকাশ করে আসছেন। বইয়ের মোড়কের পেছনে কিংবা অনেক সময় বইয়ের শুরুর দিকের পাতাতে ১৩ ডিজিটের আইএসবিএন সংবলিত একটি বারকোডও থাকে। নম্বরের প্রথম অংশটিই হলো প্রিফিক্স। আর দ্বিতীয়টি হলো দেশের কোড। তৃতীয়টি হলো প্রকাশকের কোড। চতুর্থটি আইটেম নম্বর কোড ও শেষেরটি হলো চেক ডিজিট।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।