দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পর্যটকদের বিচারে গালাপাগোস বা যাকে বলে ‘প্যারাডাইস অফ আর্থ’, পৃথিবীর সেরা দ্বীপ, যা চার্লস ডারউইনের জন্য আজও প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে।
আমেরিকার একটি বিখ্যাত ভ্রমণ ম্যাগাজিন সম্প্রতি পাঠকদের মতামত জানতে চায়। পছন্দের ভোটাভুটিতে সেরা দ্বীপ হিসেবে বিবেচিত হয় গালাপাগোস। সেরা হওয়ার অন্যতম কারণ হলো এখানকার জীববৈচিত্র্য। ইকুয়েডর উপকূল হতে আরও ৬০০ মাইল ভিতরে এই দ্বীপটিতে বহিরাগত অনেক প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এখানে দেখা যায়, দৈতাকৃতি কচ্ছপ। ওখানে গেলে চোখে পড়ে অনেক বিরল পাখি। তেমনিভাবে রয়েছে বিরল কিছু গাছও। দুনিয়ার অন্য কোথাও সচরাচর দেখা যায় না এমনটি।
ওই ভ্রমণ পত্রিকাটি পাঠকের ভোটের নিরিখে পৃথিবীর মোট ১০টি দ্বীপের তালিকা বানিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বালি, মালদ্বীপ, তসমেনিয়া, হাওয়াই দ্বীপ ইত্যাদি।
ইকুয়েডরের এই দ্বীপ গালাপাগোস দ্বীপ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্যই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। চার্লস ডারউইন তার অভিব্যক্তি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন এখানেই। সামুদ্রিক গোসাপ হতে নীল পায়ের বুবিস, সমুদ্র-সিংহ এমন অনেক প্রাণীরই দেখা পাওয়া যায় এই দ্বীপে। ‘ঝুঁকির মধ্যে থাকা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর তালিকা হতে ২০১০ সালে ইউনেস্কো বাদ দিয়েছে এই দ্বীপটিকে। তার কারণ হলো, খুব সচেতনভাবে এই দ্বীপের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করে চলেছে দেশটির সরকার।
জনপ্রিয়তায় গালাপাগোসের ঠিক পরেই বালি দ্বীপ, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ। অস্ট্রেলিয়ান এবং ব্রিটিশ পর্যটকদের কাছে অন্যতম সেরা গন্তব্য এটি। তবে ছুটি কাটাতে বহু দেশ হতেই সারা বছর প্রচুর পর্যটক আসেন। এখানে রয়েছে হিন্দু মন্দিরও।
পর্যটকদের ভোটে তৃতীয় হয়েছে মালদ্বীপ। মধুচন্দ্রিমা যাপনের সেরা জায়গাগুলোর অন্যতম এটি। দিনে গড় তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির আশপাশে থাকে, আর রাতে ২৩ গড়ে ডিগ্রি। স্বচ্ছ পানি, ধু-ধু সমুদ্রসৈকত, বিলাসী রিসোর্ট এসবই হাতছানি দেয় পর্যটকদের।
অপরদিকে মাউই দ্বীপ হাওয়াইয়ের বিশেষ এই দ্বীপটি রয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয়তায় সপ্তমে। বিশ্বের সেরা দ্বীপগুলোর তালিকা মাউই ছাড়া হয়তো কখনই সম্পন্ন হবে না।
মালটা পর্যটকদের বিচারে ১০ নম্বরে রয়েছে ব্রিটিশ মালটা দ্বীপ। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে প্রচুর ছবির শ্যুটিং হয় এই স্থানটিতে। মালটার রাজধানী ভলেট্টা একটি ঐতিহাসিক স্থান। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মধ্যেও রয়েছে এটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।