দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ যতোই বেহিসেবি হোক না কেনো, জীবনের কোনো এক সময়ে এসে কিছু না কিছু টাকা বাঁচাতে চান, বিশেষ করে ভ্রমণে গেলে। কম খরচে ভ্রমণ করতে চাইলে অবলম্বন করুন কিছু পদ্ধতি।
অনেকেই আবার ইচ্ছে করেই অন্যকে তাক লাগিয়ে দিতে কম খরচে ঘুরে আসতে চান। কেও কেও আবার চাইলেও যেতে পারেননা হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকার কারণে। তবে কারণ যায়ই হোক না কেনো, যদি আপনি চান কম খরচে বাইরে বেশ ভালোভাবে ঘুরে আসতে তাহলে জেনে নিন কিছু টিপস!
সহজ পরিকল্পনা করে নিন
ভ্রমণের ক্ষেত্রে সকলেই চান দু-একদিনের ভেতরেই গন্তব্যের দেশটিকে পুরোপুরি দেখে নেওয়ার জন্র। যে কারণে অতিরিক্ত স্থানে ভ্রমণ করতে গিয়ে জট পাকিয়ে ফেলেন পুরোটায়, খরচ করে ফেলেন বেশি, শক্তি ও সময়ের অপচয় করেন এবং মূলত কোনরকম সৌন্দর্যই উপভোগ করতে পারেননা শেষ পর্যন্ত। তাই বাছুন কোন কোন জায়গাগুলো আপনি খুব ভালো করে সহজেই দেখা যায়। তাই আপনাকে কম ঘুরতে হবে। তবে উপভোগ করতে হবে আপনার পছন্দসই স্থানে।
কম খরচের প্লেনে উঠতে
যদি আপনার যাতায়াতের মাধ্যম যদি হয় বিমান তাহলে আপনাকে প্রথমেই খোঁজ নিন কম খরুচে কিংবা বাজেট বিমানগুলোর দিকে। ভাবছেন সেগুলোর মান কি তাহলে খুব বেশি খারাপ? তা মোটেও নয়! কম খরচে ওরা আপনাকে খাবার, ব্যাগ রাখার সুবিধা ও আরামদায়ক ভ্রমণ- সবকিছুই দেবে। বাঁচিয়ে দেবে বড় একটা খরচের হাত হতে!
বিনা খরচে থাকার চেষ্টা করুন
যেখানে আপনি যাবেন সেখানে আপনার পরিচিত বা আত্মীয় স্বজন রয়েছে কি না সেটি আগে থেকেই জেনে নিন। যদি থাকে তাহলে তার বাড়িয়ে কিছু উপহার নিয়ে মেহমান হতে পারেন। তাহলে আপনার হোটেলের টাকা সাশ্রয় হবে। যেহেতু বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তাই যুগের সুবিধাকে আপনি কাজে লাগান পরিচিতদের খুঁজে বের করতে।
ভাগ করে নেওয়ার মতো মানুষ খুঁজুন
আপনাকে খরচ ভাগ করে নিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আপনাকে এক্ষেত্রে সাহায্যও করতে পারে। কিছু না হোক, বিশেষ করে আপনার ভ্রমণের জায়গাটিতে যাওয়ার খরচ ভাগ করে দেওয়ার মানুষকে খুঁজুন! এভাবেই অনেকটা খরচ বাঁচিয়ে ফেলতে পারেন। দেখুন কোথায় পাবেন সাইটগুলো? কেনো? নেটে কিনা ইত্যাদি! তবে আপনার সুবিধার জন্যে এরকম কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হলো। খরচ ভাগ করে নিতে চাইলে আপনি ঢুঁ মারতে পারেন এইসব প্রতিষ্ঠানে এয়ার বি এন বি, লাইক অ্যা লোকাল, স্পটেড বাই লোকালসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
ট্যুরিস্ট কার্ড করে নিন
লন্ডন, প্যারিস বা নিউ ইয়র্কের মতো স্থানে ঘুরে আসতে চাইলে আপনি নিয়ে নিতে পারেন একটি ট্যুরিস্ট কার্ড। এমনিতে যা খরচ হবে তার অনেকটাই কমিয়ে দেবে এই কার্ডটি। তাছাড়া আপনাকে সুযোগ করে দেবে অনেক জায়গা দেখার জন্য!
খরচ বাঁচাতে দলে ঘুরুন
একা একা ঘুরতে না গিয়ে বরং একটা দলের সঙ্গ নিতে পারেন। একা একা কতোটাই বা দেখা যায়? অনেক জিনিসের সৌন্দর্যও মাঝে মাঝে ফিকে হয়ে আসে সেটি বিনিময় করার সুযোগ না থাকলে। তাই দলে ভিড়ে যান! দলবেঁধে ঘোরার মজাটা যেমন পাবেন, ঠিক তেমনি তার সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে আপনার ভ্রমণের খরচও! তাই দল খুঁজে নিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।