দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সস্তা মুরগির মাংসে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে ইউরোপ। এই খবর দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জার্মানওয়াচ।
জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও স্পেনের আলদি, লিডল এবং আরেও কিছু মুরগির মাংস উৎপাদন এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাংস পরীক্ষা করে তাতে এক বিশেষ ধরনের প্যাথোজেন পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডিসকাউন্ট কিংবা বিশেষ মূল্যছাড়ে যেসব মাংস বিক্রি হয় মূলত সেগুলোতেই মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানো উপাদানটি মাত্রাতিরিক্ত বেশি রয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এমন বিষাক্ত মাংস সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করছে জার্মানির পিএইচডাব্লিউ গ্রুপ। ওই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪৫ লাখ মুরগির মাংস উৎপাদন করে। জার্মানির পিএইচডাব্লিউ গ্রুপের পরেই রয়েছে ফ্রান্সের এলডিসি গ্রুপ ও নেদারল্যান্ডসের পুলকন ফুড গ্রুপ নামে প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, পিএইচডাব্লিউ গ্রুপের ৫৯ ভাগ, এলডিসি গ্রুপের শতকরা ৫৭ ভাগ এবং পুলকন ফুড গ্রুপের শতকরা ৩৬ ভাগ নমুনায় উচ্চমাত্রার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্ট প্যাথোজেন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।
উচ্চমাত্রার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্ট প্যাথোজেন রয়েছে এমন মাংস স্পর্শ করলে কিংবা খেলে মানুষের দেহে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ে। এছাড়া সংক্রমণ সারাতে ব্যবহার্য অ্যান্টিবায়োটিককে অকার্যকর করে ফেলে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, সিআইএএইচপি, অর্থাৎ ক্রিটিক্যালি ইমপর্ট্যান্ট অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সংক্রমণ সারাতে অন্য সব অ্যান্টিবায়োটিক যখন ব্যর্থ হয় তখনই কাজে লাগে এই গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক। জার্মানওয়াচের পরীক্ষা করা শতকরা ৩৫ ভাগ মাংসেই ছিল সিআইএ এইচপি।
গবেষকরা মনে করেন যে, মুরগির মাংস উৎপাদনে ইউরোপের দেশগুলোতে অভিন্ন আইন হলে মুরগির মাংসের বাজার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্ট প্যাথোজেনমুক্ত হওয়া সম্ভব।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on অক্টোবর ২৯, ২০২০ 10:19 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিডিও ভাইরাল করতে গিয়ে এক যুবক দেশলাই জ্বালিয়ে পেট্রোলের উপর…