দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ির দুনিয়ায় মার্সিডিসের খ্যাতি আকাশচুম্বী। এর উদ্যোক্তা এমিল জেলিনেক। প্রতিষ্ঠা করলেন একটি গাড়ি কোম্পানি আর প্রতিষ্ঠানের নাম রাখলেন মেয়ের নামে।
অস্ট্রিয়ান ব্যবসায়ী এমিল জেলিনেক থাকতেন ফ্রান্সের নাইস-এ। ১৮৯৭ সালে ফ্রান্স থেকে জার্মানির কানস্টাটে ডেইমলার কারখানায় এলেন একটি গাড়ি কেনার জন্য। কিনলেন ডেইমলার ফিনিক্স গাড়ি। গাড়িটা কিনে ফিরে গেলেন ফ্রান্সের রিভিয়েরায়। ওখানে গাড়িটির নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ‘মার্সিডিস’। তারপর গাড়িটি স্থানীয়দের প্রদর্শনীর জন্য রেখে দিলেন। বিপুল সাড়া পেলেন এমিল। গাড়ি কেনাবেচায় ব্যবসায়িক সফলতার ব্যাপারে আর কোনো সন্দেহ রইল না তার। ৩৬টি গাড়ি কেনার কথা জানিয়ে খবর পাঠালেন ডেইমলার কারখানায়। তবে একটা শর্ত জুড়ে দিলেন গাড়িগুলোর নাম বদলে তিনি মার্সিডিস রাখবেন এবং বিভিন্ন দেশে ওই নামেই গাড়ি বিক্রি করবেন। ডেইমলারের মালিক গটলিয়েব ডেইমলার রাজি হলেন এমিলের প্রস্তাবে। ব্যস, শুরু হয়ে গেল মার্সিডিস গাড়ির পথচলা। কিন্তু গাড়ির নাম মার্সিডিস তিনি পেলেন কোথায় এমিল জেলিনেকের নয় বছরের একটি মেয়ে ছিল। মেয়েকে খুবই ভালবাসতেন এমিল।
আদরের মেয়ের নাম ছিল মার্সিডিস। মেয়ের নামেই রাখলেন গাড়ির নাম। মার্সিডিস নামটি রেজিস্ট্রেশন করা হয় ১৯০০ সালে ডেইমলারের মৃত্যুর পর। মার্সিডিসের ট্রেডমার্ক ছিল তিন কোনা তারকা। তবে এই ট্রেডমার্কটি কিন্তু ডেইমলারেরই দেয়া। ডেইমলার একবার তার গাড়ি কোম্পানির অগ্রগতির খবর জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তার বউকে। চিঠিতে তিনি আশা করেছিলেন একসময় তার গাড়ির সুনাম ও চাহিদা ছড়িয়ে পড়বে। পৃথিবীর মানুষ একসময় এই গাড়ি ব্যবহার করাকে নিজেদের আভিজাত্যের পরিচয় হিসেবে নেবে। ওই চিঠিতেই তিনি কী মনে করে যেন তিন তারকার একটি প্রতীক এঁকেছিলেন। তবে কেউ কেউ বলেন, ডেইমলার আসলে বোঝাতে চেয়েছিলেন, একসময় ইঞ্জিন চলাচল করবে তিন জায়গায়-মাটি, পানি ও বাতাসে। এই কারণে তিন তারকা দেয়া হয়েছে। সেটিই পরে হয়ে উঠেছে মার্সিডিসের ট্রেডমার্ক।
কার্ল বেনজ তখন ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন গাড়ির গতি ও চাকা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষায়। তিনি চাইছিলেন খুব সাধারণ একটি ম্যাকানিজমের গাড়ি তৈরি করতে। এজন্য তখন তিনি কাজ করছিলেন জার্মানির ম্যানহেইমের একটি ওয়ার্কশপে। তার গাড়ির ট্রেডমার্কও তিনি নির্ধারণ করেছিলেন কুণ্ডুলি পাকানো সবুজ জলপাই পাতা।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ডেইমলার ও বেনজ কোম্পানি গাড়ি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য একত্র হয়। তবে এই একত্রে কাজ করার বিষয়টি যত না গাড়ির ম্যাকানিজম নিয়ে, তার চেয়ে বেশি ছিল একই পোস্টারে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করা। ১৯২৬ সালে দুই কোম্পানি সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদের যৌথ ট্রেড মার্ক হবে কুণ্ডুলি পাকানো সবুজ জলপাই পাতা ও তিন কোনা তারকা।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল গাড়ি শিল্পের দুই প্রধান পথিকৃত গটলিয়েব ডেইমলার ও কার্ল বেনজের মধ্যে সম্ভবত কখনো দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। সম্ভবত এজন্য বলা হল যে, তাদের দেখা হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। যদিও তারা দুজন জার্মানির যে দুই জায়গায় বাস করতেন সে স্থানের দূরত্ব ছিল মাত্র ৬০ মাইল বা একশ কিলোমিটার। ১৯০০ সালে ডেইমলার মারা গেলেও ডেইমলার-বেনজ কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৬ সালে। তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর
This post was last modified on জুন ৭, ২০২৩ 12:23 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…