দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। শীতে এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই শীতে করোনাকালে যেসব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শীতের এই সময় সাধারণ সর্দি-জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, নাকের প্রদাহ, কনজাংকটিভাটিস, চোখ ওঠা, ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, খুশকি, খোস-পাঁচড়াসহ নানা রকমের রোগ হয়ে থাকে। তাই এ বছর শীতের শুরু হতেই অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে কারণ দেশে করোনা ভাইরাস বিরাজ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, এই সময় সর্দি-জ্বর হলে বাড়িতে বিশ্রামে থাকতে পারলে সবথেকে ভালো। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি, লেবুর রস, আনারস, পেয়ারা কিংবা আমলকী জাতীয় খাবারও খাওয়া যেতে পারেন। জ্বরের সঙ্গে কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা অন্য উপসর্গ থাকলে করোনা টেস্ট করিয়ে নিতে হবে অবশ্যই।
শিশুদের সুস্থতা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় অনেক কম। তাই শিশুর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই সময় অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মাকে বুকের দুধ পান করাতে হবে। ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ালেই চলবে। শিশুর হাত, পায়ে মোজা ও মাথায় টুপি পরিয়ে রাখতে হবে। শিশুর ডায়াপার ঘন ঘন পরিবর্তন করে দিতে হবে। ধূমপায়ী অভিভাবকদের শিশুদের সামনে ধূমপান হতে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
শীতের এই সময় বাতাসে ধূলাবালির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়, করোনা ভাইরাস থাকার কারণে যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারি যদি আমরা সচেতন না হই।
সেজন্য ঘরের বাইরে গেলে সকলকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে, হাত ধোয়ার সুযোগ না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার অভ্যাস তো হয়েই আছে, এটা অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। অন্যের সঙ্গে শারীরিক এবং সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।
করোনাকালে সাধারণ শীতের রোগের উপসর্গ দেখা দিলেও অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ শীতের সময় মানুষের নানা রোগ আক্রমণ করে থাকে। তাই সকলকে এই সময় সতর্ক হতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।