দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুল যে কারও হতে পারে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়ে থাকে। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, ভুল হয়ে যেতেই পারে। আয়কর রিটার্নে ভুল হলে আপনি কী করবেন? আজ সেই বিষয়টি জেনে নিন।
বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা যাকে বলে রিটার্নে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েই যেতে পারে। করের হিসাব করতে গিয়েই সাধারণত বেশি ভুল হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশের মানুষ এমনিতেই আয়কর নিয়ে ভয় ও শঙ্কায় থাকেন, কারণ তাদের এই বিষয়ে অভিজ্ঞতাও নেই। এমন অবস্থায় যদি রিটার্নে ভুল করে বসেন, তাহলে আপনি হয়তো ভাবছেন কোনো উপায় নেই। তবে বাস্তবতা হলো, দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, উপায় রয়েছে। আপনি রিটার্নের ভুলও ঠিক করতে পারবেন। এবার দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে আপনি রিটার্নের ভুল সংশোধন করবেন।
আয়কর অধ্যাদেশের ৮২ বিবি (৫) ধারাতে ভুল সংশোধনী রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সব ধরনের শর্ত পূরণ করার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে কোনো করদাতা রিটার্ন দেওয়ার পর যদি দেখেন যে, অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুলে রিটার্নে কম আয় দেখিয়েছেন, কম কর পরিশোধ করেছেন বা বেশি কর রেয়াত, কর অব্যাহতি কিংবা অন্য কোনো কারণে কম কর পরিশোধ করে ফেলেছেন। হিসাবের ভুলেও এমন কিছু হতে পারে। তাহলে আয়কর অধ্যাদেশের ৮২ বিবি (৫) অনুযায়ী একটি ভুল সংশোধনী রিটার্ন আপনি জমা দিতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের কাছে এই রিটার্নটি জমা দিতে হয়। রিটার্নের ওপরে ‘৮২ বিবি (৫) ধারায় ‘দাখিলকৃত’ কথাটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
এই ধরনের ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে অবশ্য দুটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত:, কী ধরনের ভুল হয়েছে এবং এর কারণ কী, সেটি জানাতে হয়। যেমন ধরুন কারও প্রকৃত কর ১০ হাজার টাকা। তবে এ বছর করমুক্ত আয়সীমা এবং করহার পরিবর্তনের কারণে হয়তো ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করে ফেলেছেন। সেক্ষেত্রে হিসাবজনিত ভুলের কারণ উল্লেখ করতে হবে। দ্বিতীয়ত:, যে পরিমাণ কর আপনি কম পরিশোধ করেছেন, সেই টাকা ও সেই টাকার ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সুদও দিতে হবে। এই টাকা ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার পূর্বে কিংবা জমার সময় অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। যেমন ২,০০০ টাকা কম কর দিলে ওই ২,০০০ টাকার ওপর ২ শতাংশ হারে সুদ বসবে।
আপনি ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার পর উপ-কর কমিশনার যদি সন্তুষ্ট হন যে সব শর্তই পূরণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে তিনি রিটার্নটি গ্রহণ করবেন। প্রাপ্তি স্বীকার রসিদও দেবেন। প্রাপ্তি স্বীকার রসিদে ‘৮২ বিবি (৫) ধারায় জমা গ্রহণ করা হলো’ এমন কথাটি অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে।
তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, রিটার্ন জমার ১৮০ দিন কিংবা ৬ মাস পার হয়ে গেলে কিংবা আপনার রিটার্নটি নিরীক্ষার জন্য বাছাই করা হলে ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে না। কোনো করদাতা যদি এই তথ্য না জেনেই ভুল সংশোধনী রিটার্নটি জমা দিয়ে ফেলেন, সে ক্ষেত্রে তা সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলে কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই ভুলের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ ভুল হলে রিটার্ন জমার ১৮০ দিন কিংবা ৬ মাস যেনো কোনো অবস্থাতেই পার না হয়। এর আগেই আপনাকে ভুল সংশোধন করে নিতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।