দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসা একটি মহাকাশযানের ক্যাপসুল খোলার পরই তার ভেতরে একটি গ্রহাণুর কালো পাথর এবং মাটির টুকরো পান বিজ্ঞানীরা।
রাইয়ুগু নামে এই গ্রহাণুর টুকরোগুলো সংগ্রহ করে তা একটি ক্যাপসুলে ভরে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল জাপানের মহাকাশ যান সংস্থা আইএসএএস-র পাঠানো হায়াবুসা-টু মহাকাশযান। জাপানী বিজ্ঞানীরাই পান সেটি।
মহাশূন্যের গভীর হতে (ডিপ স্পেস) এই প্রথম বড় পরিমাণে মাটি-পাথর পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। যেসব পদার্থ দিয়ে সৌরজগতের সৃষ্টি হয়, সেসব পদার্থের মধ্যে যেগুলো এখনও টিকে রয়েছে তার একটি হচ্ছে রাইয়ুগু নামে এই গ্রহাণুটি।
হায়াবুসা-২ মহাকাশযানটি ২০১৮ সালের জুনে প্রথম রাইয়ুগুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হায়াবুসা-২ প্রথমবারের মতো এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই গ্রহাণুটির ওপর অবতরণ করে।
এরপর ট্যান্টালাম নামে একটি ধাতুর তৈরি বুলেট দিয়ে এই গ্রহাণুটির ওপর ‘গুলি করা হয়’। এতে যেসব টুকরো ছিটকে পড়ে মূলত সেগুলোকে সংগ্রহ করা হয় একটি নল দিয়ে।
গত ৫ ডিসেম্বর হায়াবুসা-২ এর নমুনা বহনকারী এই ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসে। অস্ট্রেলিয়ার উমেরা মরুভূমিতে প্যারাসুটের সাহায্যে এটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।
জাপানি বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ক্যাপসুলটির ৩টি প্রকোষ্ঠের মধ্যে মাত্র একটি খুলেছেন। বাকি দুটি প্রকোষ্ঠের একটিতে রাইয়ুগুর মাটির নিচের পদার্থ সংগৃহীত হয়।
বিজ্ঞানীরা রাইয়ুগু গ্রহাণুটি থেকে এমন কিছু বিশুদ্ধ পদার্থ সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন যা মহাশূন্যের বিকিরণ কিংবা অন্যান্য কারণে শত কোটি বছরেও পরিবর্তিত হয়ে যায়নি। সেই কারণে বিস্ফোরক ব্যবহার করে তামার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মতো বস্তু নিক্ষেপ করে এই গ্রহাণুটির উপরিতলে আঘাত করা হয়।
যে কারণে ২০ মিটার চওড়া একটি গর্ত সৃষ্টি হয়েছিলো রাইয়ুগুর বুকে। তারপর হায়াবুসা-২ এতে অবতরণ করে এবং ওই গর্ত হতে বিশুদ্ধ মহাজাগতিক পদার্থের টুকরো সংগ্রহ করে। বিজ্ঞানীরা ক্যাপসুলের এই প্রকোষ্ঠটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন আরও পরে।
জাপানের মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, ক্যাপসুলের ভেতর হতে যে গ্যাস সংগ্রহ করা হয়, তাও ওই গ্রহাণু থেকেই পাওয়া।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।