দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্তত দেড় শতাধিক ছাত্রীকে নিজের বিকৃত যৌন লালসার শিকার বানানো কুখ্যাত সেই হেলাল উদ্দিন পান্না মাস্টারকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল ২ আগস্ট রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সহকারী কমিশনার (এসি) রায়হানের নেতৃত্বে ঢাকা ডিবির একটি দল দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মোহাম্মদপুরের চিনু মিয়া রোডের ভাড়া বাসা থেকে পান্না মাস্টারকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, হেলাল উদ্দিন পান্না কুষ্টিয়া বাড়াদি গ্রামের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক। কুষ্টিয়া শহরের আড়পাড়ার নিজ বাসায় প্রাইভেট টিউশনিতে আসা স্কুল-কলেজের এসব ছাত্রীদের তিনি চার সহযোগী নিয়ে ধর্ষণ করেন। গত ক’দিন ধরেই একুশে টিভিতে এ সংক্রান্ত সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে আসছিল।
জানা যায়, হেলাল উদ্দিন পান্নার বিকৃত যৌন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে সাব-ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম অভিযুক্ত শিক্ষকের অবস্থান সনাক্ত করেন।
সংবাদে আরও বলা হয়েছে, পান্না কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, কুষ্টিয়া যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম, যশোর স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী দুলাল হোসেন ও গাংনী স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম সজলকে নিয়ে তার বাসায় এই অপকর্ম করতেন। শুধু তাই নয়, তারা ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের এসব মিলন দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধারণ করতের, যা সম্প্রতি ভিডিও ক্লিপস আকারে এলাকার যুবকদের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে গত ৭ জুলাই শতাধিক এলাকাবাসী ও ছাত্ররা ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের বারখাদা-ত্রিমোহুনীতে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
এরপর কুষ্টিয়া সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর এম. মনিরুল ইসলাম ৭ জুলাই পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অধীনে পান্নাসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশ পান্নার ল্যাপটপ জব্দ করেছে, যাতে এসব ভিডিও ক্লিপস ছিল।
এর আগে পান্না মাস্টারকে গ্রেফতারে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক অভিযান চালায় র্যাব ও পুলিশ। তবে বারবারই তা ব্যর্থ হয়। অবশেষে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনাটি ঘটে কুষ্টিয়ার বাড়াদি গ্রামের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক পান্না মাস্টার বাসায় টিউশনির নাম করে দেড় শতাধিক ছাত্রীকে তার লালসার শিকার বানিয়েছেন।