দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রিসের আর্চবিশপ দ্বিতীয় আয়ারমুস মন্তব্য করেছেন, ‘ইসলাম কোনো ধর্ম নয়, এটি একটি রাজনৈতিক দল’, ব্যবসা। এর অনুসারীরা যুদ্ধবাজ।
তিনি আরও বলেন, তারা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে; এটাই ইসলামের চরিত্র । ১৬ জানুয়ারি দেশটির টেলিভিশনে প্রচার হওয়া ভাষণে মুসলমানদের কটাক্ষ করে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এদিকে ইসলামকে আক্রমণ করে অ্যাথেন্সের আর্শবিশপের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গ্রিসের মুসলমানরা। তারা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আরও সংযতপূর্ণ বক্তব্য অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় যখন সারা দুনিয়ার মানুষ আটকে পড়ে রয়েছে।
ওয়েস্টার্ন থ্রেস তুর্কি মাইনোরিটি কনসালটেশন কাউন্সিল (বিটিটিএডিকে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রিসের আর্চবিশপের ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।
কাউন্সিলের টুইটার অ্যাকাউন্ট হতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার মতো কঠিন মহামারির সময় ইসলামবিরোধী বক্তব্যের বদলে আরও শান্তিপূর্ণ ভাষার ব্যবহার আমরা সব সময় আশা করি।
ওয়েস্টার্ন থ্রেসের তুর্কি ইউনিয়ন জানথি, আয়ারমুসের বক্তব্য শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমণ তা নয়, বিদ্বেষপূর্ণ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
ইউনিয়নের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের বক্তব্য যথেষ্ট অপমানজনক বটে। গ্রিসের চার্চ থেকে এমন ভাষার ব্যবহার পরিস্থিতিকে কঠিন সংকটের মধ্যে ফেলবে। এই ধরনের বক্তব্য গ্রিসে ইসলাম বিদ্বেষ ও বিদেশীদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর একটি জঘন্য উদাহরণ বলা যায়। ভাষা সংশোধনের পাশাপাশি আয়ারমুসকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
আয়ারমুসের বক্তব্যকে উদ্দেশ্যমূলক ও ঈর্ষান্বিত বলে আখ্যা দিয়েছে ওয়েস্টার্ন থ্রেস ইমাম-খতিব স্কুলস গ্র্যাজুয়েটস অ্যান্ড মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একজন সাধারণ মানুষ যেসব ভাষা ব্যবহার করতে পারে না, একজন বিজ্ঞ লোক হয়ে তিনি কীভাবে এমন বক্তব্য রাখলেন! আমরা তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দাবি জানাচ্ছি। তার এমন ঐদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দাও জানাচ্ছি। শুধু মুসলমানদের কাছেই নয়, বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে আয়ারমুসকে পুরো মানবজাতির কাছেই ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আর্চবিশপের বক্তব্যের সঙ্গে ধর্মতাত্ত্বিক কিংবা ঐতিহাসিক তথ্যগত কোনো সম্পর্কই নেই বলে জানিয়েছে ওয়াস্টার্ন থ্রেস মাইনোরিটি উইথ হাই এডুকেশন (বিটিএওয়াইটিডি)।
সংগঠনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে থেকেও একজন আর্চবিশপের এমন বক্তব্যে আমরা ব্যথিত এবং বিস্মিত হয়েছি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।