দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব বেশি হলে আর ১০ বছর হয়তো! তারপর আর চকোলেট হয়তো পাওয়ায় যাবে না। তাহলে চকোলেট কী পৃথিবী হতে হারিয়ে যেতে বসেছে?
বলা হয়েছে চকোলেট হয়তো মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আর থাকতে পারে বড়ো জোর ১০ বছর! এরপর ‘সোনার চেয়েও দামি’ চকোলেটের স্বাদ নিতে পারবেন মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। তারপর হয়তো বছর ৪০ পর পুরোপুরিভাবে হাওয়ায় মিশে যাবে এই স্বর্গীয় চকোলেট। এমন আশঙ্কার কথা বলেছেন পরিবেশবিদরা।
কী কারণে এটি ঘটবে?
বিজ্ঞানীদের কথায় এটি হলো জলবায়ু পরিবর্তন বা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’। প্রত্যেক বছরই একটু একটু করে গড় তাপমাত্রা বাড়ছে এই পৃথিবীর। এই গতিতে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরেই চকোলেটের উৎপাদন প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃত্রিম উপায়ে চকোলেট তৈরি নিয়ে গবেষণাও চলছে। তবে নকল চকোলেটের স্বাদ আসলের ধারেকাছে পৌঁছানো আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
চকোলেট উৎপাদনে কী ভাবে প্রভাব ফেলছে জলবায়ু পরিবর্তনে?
এক তথ্যে জানা গেছে, পৃথিবীর বেশির ভাগ চকোলেটই উৎপাদন হয় আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের দুটি দেশ- আইভোরি কোস্ট ও ঘানায়। এই দুই দেশে সমুদ্রের খুব কাছাকাছি এলাকায় চাষ করা হয় কাকায়ো কিংবা কোকোয়া গাছের। এই কোকোয়া গাছ এতোটাই স্পর্শকাতর যে, তাপমাত্রার সামান্য এদিক ওদিক হলেই মুষড়ে পড়ে তারা, আর তখন বন্ধ হয়ে যায় ফল উৎপাদন। পরিবেশবিদদের আশঙ্কা হলো, আগামী ৯ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এই এলাকার গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এই গাছের ফলন।
কিন্তু শুধু গরমই নয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের তলদেশ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও রয়ে গেছে। তাতে করে আইভোরি কোস্ট ও ঘানার ওই অঞ্চলগুলো পানির তলায় চলে যেতে পারে। এ ছাড়াও রয়েছে বিশেষ ধরনের ছত্রাকের আক্রমণ। অনেকেই বলছেন যে, কোকোয়া গাছের প্রধান শত্রু যে ছত্রাক, জলবায়ু পরিবর্তনে তাদেরও বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। যে কারণে সব মিলিয়ে চকোলেটের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই চকোলেট বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাও করা হচ্ছে। ‘মার্স’ নামে চকোলেট বার কোম্পানি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কোকোয়া গাছকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। চেষ্টা চলছে কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে সেখানে কোকোয়ার চাষ করার জন্য। কিন্তু সেই গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে।
সে কারণে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, অচিরেই সব ধরনের উপহারের ঝুলি হতে বাদ পড়বে সবচেয়ে সুস্বাদু পদ চকোলেট। তার আগে প্রিয়জনকে যতোটা পারবেন উপহার দিয়ে দিন এই চকোলেট, নিজের জন্যও ইচ্ছে মতো কিনুন। ভ্যালেনটাইন্স ডে-তে আপনার প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার হাতে তুলে দিন স্বর্গীয় এই খাবারটি। কারণ হলো হাতে আর মাত্র কয়েকটা বছরই আপনি সময় পেতে পারেন। তারপর হয়তো সত্যিই হারিয়ে যাবে জনপ্রিয় এই চকোলেট! -বাংলাদেশ টুডে অবলম্বনে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।