দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা পাকা পেঁপে খেতে ভালোবাসে। তবে পেঁপে যে ওজন কমাতে সাহায্য করে সেটি অনেকের অজানা। আজ জেনে নিন বিষয়টি।
পেঁপে খেতে অনেকেই ভালোবাসলেও অনেকেই আবার পেঁপের গন্ধে নাক সিঁটকোন। তবে তারা যদি পেঁপের গুণাগুণ জানতেন তাহলে বোধহয় আর নাক সিঁটকাতেন না। পেঁপে হজমে সহায়ক একটি খাদ্য। আবার সহজলভ্য ফলও। পেঁপে সারাবছর পাওয়া যায়। কাঁচা বা পাকা যে কোনও অবস্থাতেই পেঁপে খাওয়া যায়। তবে আপনি জানেন কী? পেঁপের মধ্যে খুব কম ক্যালোরি থাকে? যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে যাদের পছন্দ নয় তারা কাঁচা পেঁপের স্যালাদও খেতে পারেন।
পেঁপের মধ্যে থাকা ক্যারোটিন শরীরে নানা উপকার করে। ১০০ গ্রাম পেঁপের মধ্যে ক্যালোরি থাকে প্রায় ৪৩ গ্রাম। আর সুগার থাকে ৭.৮২ গ্রাম, এতে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১০.৮২ গ্রাম। প্রতিদিন একবাটি করে পাকা পেঁপে খেতে পারলে দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেকটাই মেটে। তাছাড়াও যাদের দুগ্ধ প্রোটিনে সমস্যা রয়েছে, তারাও নির্ভয়ে খেতে পারেন পেঁপে। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে, এসব কারণেই যে কোনও হাসপাতালে প্রাতরাশ হিসাবে রোগীদের এক বাটি করে পাকা পেঁপে খেতে দেওয়া হয়ে থাকে।
পেঁপের নানা উপকারিতা
আমাদের দেশে নানারকম ফল পাওয়া গেলেও এর মধ্যে অন্যতম হলো পেঁপে। পেঁপের রয়েছে নানা রকম গুণ। যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয় তারা পেঁপে খেতে পারেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন থাকে অনেক বেশি। তবে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকায় যারা মোটা হয়ে যাচ্ছেন বলে চিন্তিত রয়েছেন তারা পেঁপে খেতে পারেন অনায়াসে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে।
পেপসিনের প্রভাব ও পেঁপে
কাঁচা পেঁপের খেলে লিভার সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর হতে পারে। সেইসঙ্গে খিদেও বাড়ে। জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। অপরদিকে পেঁপের রসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাশয়, অশ্ব, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও সক্ষম। পেঁপে খেলে শরীর হতে দূষিত বায়ু খুব সহজেই বেরিয়ে যায়। কাঁচা পেঁপের তরকারি পথ্যের কাজও করে।
পেট ফাঁপায় উপশম করে পেঁপে
কয়েক টুকরো পাকা পেঁপের সঙ্গে একটু লবণ ও একটু গোলমরিচের গুড়া একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে পেট ফাঁপার উপশম হয়ে যাবে।
পেঁপে ত্বক ভালো রাখে
পেঁপে ভীষণভাবে ত্বকের জন্য ভালো। পেটে খাও কিংবা মুখে লাগাও.. যে কোনও অবস্থাতে লাগালেই কাজে আসবে পেঁপে।
ওজন কমাতে পেঁপে
খুব কম ক্যালোরি থাকে পেঁপের মধ্যে। এছাড়াও প্রাকৃতিক সুগারও থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন পেঁপে। প্রতিদিন যদি একবাটি করে পেঁপে খেতে পারেন তাহরে আপনার ওজন কমে যাবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।