‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খোলার নতুন রেকর্ড

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনো রকম কাগজপত্রের ঝামেলা না থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার নতুন গ্রাহক এখন ‘নগদ’ এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন কেবল মোবাইল ফোনের কয়েকটি বাটন চেপে। যা অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড করছে।

ঝামেলাবিহীন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে এটি রেকর্ড করছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধির অনন্য এক উদাহরণও।

ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ *১৬৭# ডায়াল করেই পিন সেট করে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রযুক্তি চালু করার পর হতেই নতুন নতুন গ্রাহক ‘নগদ’ এর সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছেন। এছাড়াও অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভ্যারিফিকেশন করিয়ে গ্রাহকরা চাহিবামাত্রই ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন।

অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও সাম্প্রতিক সময় বেশ কয়েকটি ক্যাম্পেইন চালু করার পর ‘নগদ’ প্ল্যাটফর্মে যেনো গ্রাহকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। ‘নগদ’ এর অ্যাপ ডাউনলোড এতোটাই বেড়ে গেছে যে, গুগল প্লে স্টোরে ‘নগদ’ অ্যাপ বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে টপ চার্টে অবস্থান করছে।

সম্প্রতি দেশের সবগুলো মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে *১৬৭# ডায়ালের মাধ্যমে পিন সেট করে অ্যাকাউন্ট খোলার চুক্তিও করে ‘নগদ’। তারপর হতে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খোলার হিড়িক পড়ে যায়। মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে যেহেতু গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তাই *১৬৭# ডায়াল করে গ্রাহক তার আগ্রহের কথা জানানোর মুহূর্তেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজে হতে গ্রাহকের তথ্য ভ্যারিফিকেশন করিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে। ‘নগদ’ এর উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও সাড়া ফেলেছে।

একসময় যে কোনো মোবাইল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মানুষকে ব্যাপক ঝামেলা এবং অর্থ খরচ করতে হতো। সেই সঙ্গে কয়েক দিন, এমনকি সপ্তাহ অপেক্ষাও করতো হতো। এই অচলায়তন ভাঙতে ডাক বিভাগের ‘নগদ’ দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল কেওয়াইসি’র প্রচলন করে। তারপর বাংলাদেশ সরকারের পরিচয় অ্যাপের মাধ্যমে এক মিনিটে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি চালু করলো। সর্বশেষ *১৬৭# ডায়াল করে পিন সেট করলেই একজন ‘নগদ’ গ্রাহক হয়ে যেতে পারছেন এক মুহূর্তেই।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক দিনেই ‘নগদ’ এর প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহক। তার আগে পরে কয়েক দিনও প্রায় একই হারে গ্রাহক বেড়েছে। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে সংখ্যা একটু কম হলেও গত দুই সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন দেড় লাখ করে নতুন গ্রাহক পেয়েছে ‘নগদ’। যে কারণে ‘নগদ’ এর কার্যকর গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে যা দেশের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধিতে বড় ধরণের একটি অগ্রগতি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধি করায় ইতিমধ্যেই ‘নগদ’কে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও পুরস্কৃত করা হয়।

গ্রাহক সংখ্যার বিবেচনায় এই মুহূর্তে ‘নগদ’ এর মার্কেট শেয়ার ৩০ শতাংশ, যা চলতি বছরের মধ্যেই ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে অপারেটরটি।

প্রযুক্তিগত সুবিধার পাশাপাশি ‘নগদ’-এ বর্তমানে চলছে দারুণ মোবাইল রিচার্জ অফার। ‘নগদ’ ওয়ালেট থেকে যেকোনো মোবাইল অপারেটরে ২০ টাকা রিচার্জ করলেই দিচ্ছে ২০ টাকা বোনাস (মাসে ২ বার)। তাছাড়াও দেশের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ড মানি ফ্রি, বিল পে ফ্রি ও জমানো টাকার ওপর সবচেয়ে বেশি মুনাফা এবং ঝামেলাহীন পেমেন্ট অফারসহ আরও অনেক কিছু পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সরকারি এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে এই ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। চলতি বছর সব মিলে প্রাথমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে ভাতা এবং উপবৃত্তি দেবে সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে বৃত্তি বিতরণের ঘটনা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঘটনা। সেইসঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৭৫ শতাংশ ভাতাও ‘নগদ’-এর মাধ্যমে বিতরণ করবে সরকার। সেইসঙ্গে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের আর্থিক প্রণোদনার অর্থও ‘নগদ’ এর মাধ্যমে বিতরণ করছে সরকার।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।