হাসানুজ্জামান ॥ এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে কবি আখতার হোসেনের ‘ সরোজ’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈশ্বরদী সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদে গত বুধবার রাতে তাদের নিজস্ব মিলনায়তনে এই প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। পরিষদের সভাপতি এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রকাশনা উৎসবে মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন পাকশী রেলওয়ে কলেজের বাংলা বিভাগের (অবঃ) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। সদ্য প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ ‘ সরোজ’ নিয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক উদয় নাথ লাহিড়ী, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজউদ্দিন বিশ্বাস, কৃষকনেতা কবি মুরাদ মালিথা, বিজ্ঞানী কুয়াশা মাহমুদ, অধ্যক্ষ হামিদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, উপাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, কবি আতাউর রহমান বাবলু, কবি জাহিদুল ইসলাম সনো, ওসমান গণি প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই উৎসবে‘ সরোজ’ কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতা আবৃত্তি করে শোনান আবৃত্তিকার নূরুল ইসলাম বাবুল এবং ইসমাইল হোসেন।
অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ‘ সরোজ’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা নিয়ে আলোচনায় বলেন, কবির কবিতা অনেক পরিপক্ষ ও গুণগত মানসম্পন্ন হয়েছে। কবিতার মধ্যে ছন্দের যেমন ছোঁয়া রয়েছে, ঠিক তেমনি যথেষ্ঠ পরিমাণে রুপক শব্দের ব্যবহার রয়েছে। ফলে কবিতাগুলো হয়ে উঠেছে আধুনিক ও সময়োপযোগী। কবি এভাবেই তার লেখা অব্যাহত রাখলে তার কাছ থেকে জাতি আরও ভাল কিছু পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানের অপর আলোচক অধ্যাপক উদয় নাথ লাহিড়ী কবির কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, তিনি একজন শিক্ষাবিদ ও সরকারী কলেজের অবঃ প্রফেসর। তাঁর লেখায় যথেষ্ঠ মেধার পরিচয় আমরা পেয়েছি। ভবিষ্যতেও তিনি আরও লিখবেন ও পাঠকের রসনা মিটাবেন বলে আমার বিশ্বাস।
উৎসব অনুষ্ঠানের সভাপতি এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কামাল বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতার মধ্যদিয়ে সমাজের অপসংস্কৃতিকে আমাদের রুখতে হবে। তিনি আরও বলেন , এটি কবির তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। আগের থেকে তার কবিতা আরও বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। আমি কবির লেখার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।