দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শারীরিক অনুশীলন যাকে আমরা বলি এক্সারসাইজ সেটি করলে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব। তবে হঠাৎ করে শারীরিক অনুশীলন বন্ধ করা মোটেও উচিত নয়।
শারীরিক অনুশীলন হঠাৎ বন্ধ করে দিলে দেহে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আজ তুলে ধরা হচ্ছে তেমন কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
১০ দিনের মধ্যে যা ঘটতে পারে
২০১৩ সালের এক গবেষণায় জানা যায়, শারীরিক অনুশীলন মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো। এতে উঠে এসেছে যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের যে স্মৃতিশক্তি অবনমন হয় তা শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মূলত মস্তিষ্কের রক্তচলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার পর কোষগুলো সতেজ হয়ে ওঠে এর মাধ্যমে। আপনি যদি শারীরিক অনুশীলন বন্ধ করে দেন তাহলে ১০ দিনের মধ্যে মস্তিষ্কের রক্তচলাচল কমে যাবে এবং স্মৃতিশক্তিতে পরিবর্তন আসার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাবে।
২ সপ্তাহের মধ্যে যা ঘটবে
আপনি যদি দুই সপ্তাহ ধরে শারীরিক অনুশীলন না করেন তাহলে শরীর দুর্বল হওয়া শুরু হয়ে যাবে। এই প্রভাব আপনি বুঝতে পারবেন সিঁড়ি দিয়ে চলাচলের সময় আপনার বেশ কষ্ট হবে। তাছাড়াও ছোটখাট শারীরিক পরিশ্রম বা খেলাধুলায় শরীর মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আপনি যদি শারীরিক দুর্বলতার বিষয়টি বুঝতে নাও পারেন তাহলেও আপনার রক্তচাপে এই পরিবর্তন অবশ্যই ধরা পড়বে।
৪ সপ্তাহের মধ্যে যা ঘটবে
চার সপ্তাহের মধ্যে শারীরিক শক্তি কমতে থাকবে, যার প্রভাব আপনি নিজেও টের পাবেন। এই বিষয়ে স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. ফারাহ হামিদ একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, শারীরিক অনুশীলন ছেড়ে দিলে প্রত্যেকেই নিজে বুঝতে পারবেন যে, তার শারীরিক শক্তি আসলেও কমে গিয়েছে। ২০১১ সালের এক গবেষণাতে এই বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
৮ সপ্তাহের মধ্যে যা ঘটবে
শারীরিক অনুশীলন বন্ধ করলে মানুষের ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকবে, এই বিষয়টি অতি স্বাভাবিক একটি বিষয়। ৮ সপ্তাহ পর এই বিষয়টি স্পষ্ট হবে মূলত দেহের ফ্যাট বৃদ্ধির মাধ্যমে। অলস দেহে নানা ধরনের রোগের আশঙ্কাও এ জন্য বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি ৮ সপ্তাহ শারীরিক অনুশীলন না করেন তাহলে দেহের চর্বি বৃদ্ধির বিষয়টি অত্যন্ত সহজেই আপনার চোখে ধরা পড়বে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।