দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন এক পাখির খোঁজ পাওয়া গেলো যে পাখিটিকে দেখে সবাই বলছেন ‘এই পাখি স্বর্গের পাখি, ঈশ্বর স্বর্গের বাগান হতে এই পবিত্র পাখিটিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন!’
ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি এলাকায় অদ্ভুত সুন্দর এক পাখি দেখা গেছে। ওই পাখিটির পালক যেমন জাঁকালো রঙিন, ঠিক তেমনী মোহনীয় তার দেহের গড়ন! স্থানীয় লোকজন বলেন, ‘এই পাখি স্বর্গের পাখি, ঈশ্বর স্বর্গের বাগান থেকে এই পবিত্র পাখিটিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।’ সেখান থেকেই এই পাখিটির ইংরেজি নাম দেওয়া হয়েছে ‘বার্ডস অফ প্যারাডাইস’! পাখিটির পালকের মত মোহনীয় রঙ ও রঙের বৈচিত্র থাকার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় সম্প্রতি একটি ফুলেরও নাম রাখা হয়েছে–‘বার্ডস অফ প্যারাডাইস’! অনেকেই বলে থাকেন- এটিও নাকি স্বর্গের ফুল!
পৃথিবীতে যতো রকম সুন্দর সুন্দর ফুল রয়েছে তার একটি হলো এই ‘বার্ডস অফ প্যারাডাইস ফুল’। বার্ডস অফ প্যারাডাইস ফুলের রং যেমনী বৈচিত্রপূর্ণ, ঠিক তেমনই বাহারি তার গড়ন! আকর্ষণীয় রং ও চমকপ্রদ গড়ন বার্ডস অফ প্যারাডাইস ফুলকে পৃথিবীব্যাপী ভীষণভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এর আদি নিবাস যদিও দক্ষিণ আফ্রিকায়, তবে বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশে এই ফুল চাষ করা হয়। বিভিন্ন উপলক্ষ্যে প্রতি বছর কয়েক লাখ বার্ডস অফ প্যারাডাইস ফুল সারা পৃথিবী জুড়ে বিক্রিও হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, আজকের কথা নয় সেই ১৭৭৩ সালে রয়্যাল গার্ডেনের ডিরেক্টর Sir Joshep Banks বার্ডস অফ প্যারাডাইস ফুলকে প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জর্জের স্ত্রী Charlotte -এর সন্মানে ফুলটির বৈজ্ঞানিক নামকরণ করা হয়েছিলো Strelitzia reginae. রাণী Charlotte ছিলেন তখন ইংল্যান্ডের Mecklenburg-Strelitz অঞ্চলের ডাচেস। বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশ রাণীর প্রথম জীবনের আবাসস্থলের নাম থেকে নেওয়া হয়, আর reginae শব্দের অর্থই হলো ‘of the Queen.’
বার্ডস অফ প্যারাডাইস ফুল ফোটে সেপ্টেম্বর হতে মে এই ৯ মাস। ফুল স্থায়ী হয় মাত্র এক সপ্তাহ। ছায়া বা রোদ দু’জায়গাতেই এই গাছ জন্মে। তবে রোদেই বেশি ফুল ফোটে। বার্ডস অফ প্যারাডাইস ফুল হলুদ, কমলা, নীল, লাল, সাদাসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এই চমৎকার ফুলটি আভিজাত্য, রাজকীয়তা, স্বাধীনতা, নেতৃত্ব, সজীবতা, আস্থা এবং বিশ্বস্ততার প্রতীক। অনেকেই বার্ডস অফ প্যারাডাইস ফুলকে স্বর্গের প্রতীক বলেও উল্লেখ করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।