দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের ফরিদাবাদে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একটি গরুর অস্ত্রোপচার করে অবাক হন সবাই। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে এটির পেট থেকে ৭১ কেজি প্লাস্টিক, পেরেক, কাচের টুকরা ও জঞ্জাল বের করেন চিকিৎসকরা!
অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক ডা. আতুল মাওরিয়া বলেন, পরবর্তী ১০ দিন এই গরুটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার আগে কিছুই বলা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক।
শেষ পর্যন্ত সব শঙ্কা শেষ করে গরু ও তার বাচ্চা মারা গেছে। এনডিটিভিরর খবরে বলা হয়, পশুটিকে বাঁচানোর সব চেষ্টাই করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া গরুটি ফরিদাবাদের এনআইপি-৫ হতে উদ্ধার করা হয়। পরে দেবাশ্রী প্রাণী হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত গরুটিকে। চিকিৎসকরা দেখতে পান যে, গরুটি নিজের পেটেই ক্রমাগতভাবে লাথি মারছে। এতে তাদের মনে হয়, দুর্ঘটনায় আহত হওয়া ছাড়াও গরুটির শরীরে আলাদা যন্ত্রণা রয়েছে।
তারপর অস্ত্রোপচারে বেরিয়া আসে প্লাস্টিক, গ্লাসের টুকরো, সুই, কয়েন, স্ক্রু এবং বিভিন্ন ধরনের পিন। শহরে ঘাস খাওয়ার সময় এগুলো তার পেটে চলে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতে আগেই প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে তার পরও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার এখনও কমেনি। যে কারণে সামুদ্রিক জীব থেকে রাস্তার পশুরাও এইসব প্লাস্টিকের শিকার হচ্ছে। প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন পরিবেশবিদ এবং পশুবিদরাও। প্লাস্টিক খেয়ে প্রতি বছর কতো গরু মারা যায় ভারতে, তার সরকারি হিসাব না থাকলেও এক পশুকল্যাণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী দেখা যায়, শুধু উত্তরপ্রদেশের লখনৌতেই এক হাজার গরুর মৃত্যু ঘটে প্লাস্টিক খেয়ে।
পুরো ভারতে যখন গোরক্ষা নিয়ে আওয়াজ তুলছে গেরুয়া শিবির ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো, গরুদের সুরক্ষা নিয়ে যখন মোদি সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছেন, প্লাস্টিকের কারণে গরু মৃত্যুর ঘটনায় তাদের সুরক্ষাবিধি নিয়েই যেনো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।