দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। যা উত্তর কোরিয়ার নকশার ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে ও ইউরোপে এটি আঘাত হানতে সক্ষম।
এমনটিই দাবি করেছে দেশটির বিরোধী গোষ্ঠী ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেজিস্ট্যান্স অব ইরান (এনসিআরআই)। -খবর এনডিটিভি এবং নিউইয়র্ক পোস্টের।
গোষ্ঠীটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এইসব অস্ত্র দুটি স্থাপনাতে তৈরি হচ্ছে। যা মূলত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র হিসেবে ছদ্মবেশে কাজ করছে।
এনসিআরআই-এর ধারণা মতে, তেহরান এই কেন্দ্রগুলোতে পারমাণবিক কর্মসূচি আরও দ্রুততর করছে। তাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি (১,৮০০ মাইল) পথ অতিক্রম করতেও সক্ষম। যা ইউরোপের বিভিন্ন অংশকে লক্ষ্যে পরিণতও করতে পারে।
এনসিআরআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ও উন্নত প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা শাহরুদ মিসাইল সুবিধা পরিচালনা করছে। যেখানে পারমাণবিক ওয়ারহেডও তৈরি করা হচ্ছে। এই ওয়ারহেড ‘গাহেম-১০০’ ক্ষেপণাস্ত্রে সংযোজন করা হবে, যা গ্রিস পর্যন্তও পৌঁছাতে পারবে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ইতিমধ্যেই শাহরুদ কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনবার রকেট পরীক্ষা চালায়। তবে সরকার এগুলোকেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
এনসিআরআই-এর দাবি হলো, আইআরজিসি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও উন্নত গাহেম-১০০ রকেট পরীক্ষা করতে চায়।
দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক কেন্দ্রটি সেমনান শহরের দক্ষিণ-পূর্বে অন্তত ৪৩ মাইল দূরে অবস্থিত। যেখানে ইরান ‘সিমোরগ’ ক্ষেপণাস্ত্রেরও উন্নয়ন করছে, যা উত্তর কোরিয়ার নকশার ওপর ভিত্তি করেই তৈরি।
এনসিআরআই-এর মনে করে, এই কেন্দ্রের কিছু অংশ মাটির নিচে লুকানো ও মূলত ২০০৫ সাল থেকে এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org