দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দাম শুনলে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। এবার এমন একটি খবর নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হয়েছে, এক বোতল বাতাসের দাম নাকি ১৪ হাজার টাকা!
কোস্ট ক্যাপচার এয়ারের এই বোতল এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ব্যয়বহুল বোতলজাত বাতাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। দামের দিক দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জেনুইন মাউন্টেন এয়ার। এরা আল্পসের একটি গোপন স্থান হতে সংগৃহীত সুইস পর্বতের বাতাস বিক্রি করে থাকে। তাদের সেই বাতাসভর্তি বোতলের দামদ হলো ১৬৭ ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ টাকা।
বোতলে ভরে কোক, জুস বা পানীয় বিক্রি হবে এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। তবে বোতলে ভরে বাতাস বিক্রির কথা আগে কখনও হয়তো কেও শোনেননি! তবে এবার তাই ঘটেছে। বোতলজাত নির্মল বাতাস বিক্রি করা শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের এক কোম্পানি।
অনলাইনে ‘উপকূলীয় টাটকা বাতাস’ ভর্তি কাঁচের বোতল বিক্রি করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ওই কোম্পানিটি। তারা বোতলপ্রতি নির্মল বাতাস বিক্রি করছে ১০৫ ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৯ হাজার টাকা!
বাতাস বিক্রি করা ওই কোম্পানির নাম কোস্ট ক্যাপচার এয়ার। বর্তমান যুগে বিশুদ্ধ বাতাসের গুরুত্বকে একটি স্মারক এবং আলোচনার বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করতে বোতলবন্দি টাটকা বাতাস বিক্রি শুরু করেছে। বিশ্বের দূষিত এলাকার মানুষ ব্যবহারিক উদ্দেশ্যেই কিনতে শুরু করে এই বোতলগুলো। ক্রেতারা কোম্পানিকে জানিয়েছেন যে, বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিহত করতে এই ‘পণ্য’ বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। তাই তারা যেনো এটি বিক্রি অব্যাহত রাখে এও বোতলে যেনো একটি প্রাইস ট্যাগও লাগায়।
কিন্তু কোস্ট ক্যাপচার এয়ারই বিশ্বের একমাত্র কোম্পানি নয়- যারা নাকি বাতাস বিক্রি করে। ভিটালিটি এয়ারের মতো বাতাস বিক্রির বড় ব্র্যান্ডও রয়েছে পৃথিবীতে। যারা কানাডিয়ান রকি মাউন্টেন, এয়ার ডি মন্টকুক বা ফরাসি গ্রামাঞ্চল থেকে বাতাস সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।