দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোগ-বালাই যে কোনো সময় আমাদের আক্রমণ করতে পারে। বিশেষ করে করোনা মহামারির এই সময় আমাদের আরও বেশি সজাগ থাকা দরকার।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন
চারপাশের বায়ুদূষণ, ময়লা আবর্জনা আপনাকে প্রতিনিয়ত রোগের জীবাণুমুখী করে রাখতে পারে। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আপনার সুস্থ জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক একটি বিষয়।
ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন
আপনার আসবাবপত্র, মোবাইল ফোন বা দরজার হাতল যখন ধরবেন, তখন জীবাণুগুলো মূলত আপনার হাতে লেগে যাচ্ছে বা আপনি যখন কারও সঙ্গে করমর্দন করছেন তখন তাদের হাতের জীবাণুগুলো আপনার হাতে এসে যাবে। ফলশ্রুতিতে আপনার হাত যখন আপনার শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গ যেমন নাক, চোখ, মুখ স্পর্শ করছে তখন এই জীবাণুগুলো আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। সে জন্য বলা হচ্ছে, প্রতিবার হাত কোন কিছুর স্পর্শের পর ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে।
বিষাক্ত পদার্থ হতে দূরে থাকুন
চেষ্টা করুন হাতে গ্লাবস পরতে ময়লা ধুলো থেকে দূরে থাকার জন্য এটি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। ব্লিচিং পাউডার, ওভেন ক্লিনার কখনও খালি হাতে ধরবেন না। আপনার থালাবাসন যেনো ভালোভাবে ধোয়া হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যেনো কোনো রকমের ডিটারজেন্ট তাতে লেগে না থাকে।
ধূমপান হতে বিরত থাকুন
যাদের ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে তারা এটি ত্যাগ করুন। ধূমপান আপনাকে ও আপনার চারপাশের প্রতিজনকে রোগ আক্রমণের দিকেই ঠেলে দেয়।
দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন
হাসিখুশি ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন। দুশ্চিন্তা আপনার শরীরের হরমোন নিঃসরণ আরও বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন আবার রোগ প্রতিরোধ মাত্রাকেও কমিয়ে দেয়। যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রোগ আরোগ্যের ক্ষমতাও কমে যায়।
ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। কারণ ব্যায়াম আপনার জীবনের প্রতিদিনের রুটিনের একটি অংশ হতে হবে। ব্যায়াম আপনার শরীরের ক্ষতিকারক বর্জ্য বের করে দেবে। ব্যায়াম শরীরের লিম্প ফ্যাটিক সিস্টেমকেও উজ্জীবিত করে। হাল্কা খালি হাতে ব্যায়াম কিংবা হাঁটা আপনার জন্য অত্যাবশ্যক একটি কাজ।
সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো ভালো খাওয়া, বিশেষ করে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া। কারণ পুষ্টিকর খাদ্য আপনার শরীরকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।