দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সময় কাটানোর জন্য হয়তো আপনি একটি ভালো জায়গা খুঁজে পান না। তাই আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন মাদারীপুরের রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি থেকে। করোনার এই সময় পার করে আপনি সেখানে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়ায় রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক এই খালিয়া জমিদার বাড়ির অবস্থান। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই বাড়িটি উজানির জমিদার হতে পাওয়া একটি জমিদার বাড়ি। ১৭০০ শতকের দিকে নির্মিত রাজা রামমোহন রায়ের খালিয়া জমিদারী পাওয়া নিয়ে একটি লোক-কাহিনীও প্রচলিত রয়েছে। কথিত রয়েছে যে, রাজা রামমোহন রায়ের মা-বাবা উজানির জমিদার বাড়িতে নাকি দাসদাসী হিসেবে কাজ করতো। কাজে যাওয়ার সময় তারা ছোট্ট রাজা রামমোহন রায়কে বাড়ির আঙ্গিনায় রেখে যেতেন এবং বাড়ির আঙিনায় থাকা ফনিমনসা গাছ রামমোহনকে রোদ-বৃষ্টি হতে রক্ষা করতো। এই বিষয়টি একদিন উজানির জমিদার দেখে ফেলেন এবং তিনি রামমোহন রায়ের শরীরে একটি রাজতিলক লক্ষ্য করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উজানির জমিদার তার ৭টি জমিদারী হতে একটি জমিদারী রাজারাম মোহন রায়কে দান করেন এবং তার পিতামাতাকে দাসদাসী হতে মুক্ত করেন। এখান থেকেই জমিদার হিসেবে রাজা রামমোহন রায়ের গোড়াপত্তন শুরু হয়।
প্রায় ২৫০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ির প্রাঙ্গনে একটি ৩ তালা দালান, বাগানবাড়ি, পূজা মণ্ডপ ও শান বাঁধানো পুকুর ঘাট। বর্তমানে রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ির মন্দিরটি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
রাজধানী ঢাকার গাবতলী এবং কেরানিগঞ্জ হতে মাদারীপুরগামী বিভিন্ন সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। গাবতলী হতে সার্বিক, চন্দ্রা এবং সোহেল পরিবহনের বাসে মাদারীপুর যেতে পারেন। এছাড়াও গাবতলী হতে বরিশালগামী বাসেও মোস্তফাপুর নেমে সেখান থেকে মাদারীপুর সদরে যাওয়া যায়। ঢাকার সদরঘাট হতে এমভি তরীকা কিংবা দ্বীপরাজের লঞ্চ সার্ভিস মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে থাকে। মাদারীপুর জেলা হতে বাসে বা সিএনজিতে রাজৈর উপজেলা পৌঁছে স্থানীয় পরিবহণে রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি কিংবা খালিয়া জমিদার বাড়িতে আপনি যেতে পারবেন।
মাদারীপুরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে সেনাপতির দীঘি, মিঠাপুর জমিদার বাড়ি, শকুনি লেক, গনেশ পাগল সেবাশ্রম এবং আউলিয়াপুর নীলকুঠি উল্লেখযোগ্য বেড়ানোর মতো স্থানসমূহ।
তথ্যসূত্র: vromonguide.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।