দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধারাবাহিক নাটক নিয়ে অভিযোগ শোনা যায়, ‘দেশীয় সিরিয়াল দর্শক দেখে না।’ তবে সেই অভিযোগ ভুল প্রমাণ করলো কাজল আরেফিন অমির তুমুল আলোচিত সিরিয়াল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। তরুণ প্রজন্ম যেনো পাগল এই নাটকটি দেখার জন্য।
শুরু থেকে প্রতিটি পর্বই টানটান উত্তেজনায় রেখে ৭৯ পর্বে এসে এই সিরিয়ালটি শেষ হলো। মঙ্গলবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৩ এর শেষ পর্ব প্রচার হয়েছে ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলে। প্রচারের পর হতে সিরিয়ালটির নিয়মিত দর্শকরা আনন্দ-দুঃখে এমনকি রীতিমতো আবেগে ভাসছেন!
এই নিয়ে সোশাল মিডিয়াও বেশ সরগরম। দর্শকদের কথা, গত তিন বছরে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র ৩টি সিজনে আবেগ মিশে গেছে। পাশা, হাবু, শুভ, কাবিলা, রিয়া, নাবিলা, শিমুল, সিরিন, বোরহান ভাই ও সবশেষে জাকির, অন্তরা চরিত্রগুলো তাদের মনে যেনো দাগ কেটে থাকবে চিরদিনের জন্য।
দর্শকদের উচ্ছ্বাসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন কাজল আরেফিন অমি নিজেও। একটি অনলাইনকে তিনি বলেছেন, সিরিয়াল শেষ হয়ে যে খারাপ লাগছে, এর চেয়েও দ্বিগুণ খারাপ লেগেছিল ফেব্রুয়ারিতে শেষদিনের শুটিং শেষে। শুরু থেকে লাইটম্যানসহ ক্রু, মেকাপম্যান, প্রত্যেকটা শিল্পী ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন এর সঙ্গে। প্রত্যেকেরই ওইদিনের শুটিংয়ে কলিজা ছিঁড়ে গেছে। আমি নিজেও বাসায় ফিরে চুপচাপ হয়ে গেছি।
প্রচারের পরই অল্প সময় ইউটিউবে মিলিয়ন ভিউসের রেকর্ড দেখা যেতো ব্যাচেলর পয়েন্টের প্রতিটি পর্বে। নিজের অনুভূতি জানিয়ে অমি আরও বলেন, ঠিক অবস্থানে থাকা অবস্থায় শেষ করতে পারছি, যখনই ভাবছি এই ভাবনা নিজেকে যেনো আরাম দিচ্ছে। যারা ব্যাচেলর পয়েন্ট ভালোবাসে তারা অবশ্যই কাজটি খুঁজবে এবং মিসও করবে।
প্রথম এবং দ্বিতীয় সিজন হিট হলে তৃতীয় সিজন বানিয়েছেন পরিচালক অমি। দর্শকদের কথা, ব্যাচেলর পয়েন্ট ‘সিজন ৩’ আগের দুই সিজনকেও যেনো ছাড়িয়ে গেছে। তাদের প্রশ্ন হলো ‘সিজন ৪’ আসবে? পরিচালকের উত্তর, এখনও কিছু ভাবিনি। যদি জীবিত থাকি অবশ্যই ব্যাচেলরদের পরে কী হয় তা দেখাবো।
উল্লেখ্য, মোশন রকের ব্যানারে মাসুদুল হাসানের প্রযোজনায় ব্যাচেলর পয়েন্টের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষি আলম, তৌসিফ মাহবুব, শামীম হাসান, মিশু সাব্বির, শরাফ আহমেদ জীবন, জিয়াউল হক পলাশ, সাবিলা নূর, মনিরা মিঠু, সানজানা রিয়া, ফারিয়া শাহরিন, আবদুল্লাহ রানা, পাভেল, শিমুল শর্মা, মুসাফির বাচ্চু, তুর্যসহ অনেকেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।