দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ রমজান এলেই আমরা খেজুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। তবে খেজুর শুধু রমজান নয়, সব সময়ই খাওয়া উচিত। আজ খেজুরের কয়েকটি ঔষধিগুণ সম্পর্কে জেনে নিন!
এই খেজুর প্রকৃতপক্ষে পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। এর রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণও। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়েছে যে, সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হবে। এছাড়াও এই ফলটিতে রয়েছে প্রাণঘাতি নানা রোগ নিরাময়ের ক্ষমতাও।
খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
# খেজুর একটি শক্ত জিনিস। খেজুরকে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। তাজা খেজুর নরম ও মাংসল যা খুব সহজেই হজম হয়।
# খাওয়ার রুচি বাড়াতে খেজুরের কোনো তুলনাই হয় না। অনেক শিশুরা খেতেই চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি আবারও ফিরে আসবে।
# হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে খেজুরের জুরি নেই। তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরোরাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস করলে হার্টের রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
# যখন খুব দুর্বল লালে অথবা দেহে এনার্জির অভাব হয়, তখন ঝটপট খেয়ে নিন কয়েকটি খেজুর। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনাই নেই।
# ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই খেজুর দৃষ্টিশক্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল বিদ্যমান থাকায় অনেক রোগ নিরাময় হয়। সেই সঙ্গে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেও সহায়তা করে।
# খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার হতে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে। যেমন- খেজুর লাংস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার হতে শরীরকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।
# খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল ও ইনস্যলুবল ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সহজেই খাবার হজমে সহায়তা করে থাকে।
# খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পক্ষাঘাত ও সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য খেজুর খুবই উপকারী একটি ফল।
# খেজুরে রয়েছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল হতেও মুক্তি দেয়। যে কারণে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।