পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পানে যতো উপকারীতা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানি মধু পানে উপকারিতা আছে। তবে সেই উপকারীতা কতোটুকু তা জানা নেই। জেনে নিন মধুর পানি পানে যতো উপকারীতা।

এক গ্লাস পানিতে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে তা আমাদের বহু উপকার করে। ঠাণ্ডা লাগলে যেমন এটি উপকারে আসে তেমটি তা আপনার ত্বকের কিংবা হজমেরও বহু উপকার করতে পারে।

যেমন মধুমিশ্রিত এক গ্লাস পানি আপনার দেহের ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। মধু মিষ্টি হলেও এর মিষ্টতা কিন্তু প্রাকৃতিক। তাই এই মধুর মাধ্যমে যে উপকারিতা পাওয়া যাবে, তার কোনো রকম তুলনা হয় না।

মধুর পানি সাধারণত হজম ভালো করতে সহায়তা করে। দেহের পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতে বা অ্যাসিডিটি কমাতেও এটি ভূমিকা রাখতে পারে।

এক গ্লাস মধুমিশ্রিত পানি সকালবেলা খেলে আপনার এনার্জি বাড়িয়ে দেবে। এতে আপনার মানসিকতাও বেশ ভালো হবে।

ঠাণ্ডার সমস্যা, মাথাব্যথাসহ নানা ছোটখাট ব্যথা-বেদনা দূর করতে পারে এই একগ্লাস মধুমিশ্রিত পানি।

মধু সেবনে আপনার অ্যালার্জির প্রকোপ কমে যেতে পারে। বিশেষ করে পরিবেশগত অ্যালার্জির ক্ষেত্রে এটি খুব ভালো কাজ করে। সেজন্য সকালে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে সেবন করাই হতে পারে উপযুক্ত একটি সমাধান।

পানি এবং মধু একত্রে পান করলে তা শরীরের বিষ দূর করতে সহায়তা করে থাকে। এতে সামান্য লেবু যোগ করলে তা আরও বাড়তি উপকার এনে দেবে।

মধু রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সহায়তা করে। মধুতে এনজাইম, ভিটামিন এবং মিনারেলও রয়েছে। তাই সকালে এক গ্লাস পানির সঙ্গে তা পান করলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকটা বাড়বে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।