দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি আগুনের ঘটনার পর ভারতের গুজরাটে আবারও একটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আগুন লেগে কমপক্ষে ১৮ রোগী নিহত হয়েছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজ্যের ভারুচ শহরের প্যাটেল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালে ঘটে ওই অগ্নিকাণ্ড।
আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং স্থানীয়রা মিলে প্রায় ৫০ জন রোগীকে উদ্ধার করেন। ভারুচ পুলিশের এসপি রাজেন্দ্র সিং চুদাসামা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চিকিৎসাধীন ১৮ করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি।
ভারুচ-জাম্বুসর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ৪ তলা এই হসপাতালটি কেবল করোনা রোগীদের চিকিৎসার কাজেই ব্যবহার হচ্ছিল।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শৈলেষ সানসিয়া জানিয়েছেন যে, প্রথমে হাসপাতালটির নিচতলায় করোনা ওয়ার্ডে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় এবং প্রায় ৫০ জন রোগীকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী অন্য আরেকটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১০ দিনের মধ্যে ভারতে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ৩টি ঘটনা ঘটলো। ওইসব ঘটনায় বেশ কয়েক জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।