দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জানালায় হলো ঘরের মূল। জানালা না থাকলে অন্ধকারে ডুবে থাকতো ঘর। তাই জানালাটি সাজিয়ে রাখা আপনার দায়িত্ব। জানালা সাজাবেন কিভাবে? আজ জেনে নিন বিষয়টি।
জানালাকে বলা হয়ে থাকে ঘরের চোখ। তাই ঘর যতোই সাজানো হোক না কেনো, তার চোখের সাজসজ্জা হওয়া চাই একটু ভিন্নধর্মী। আলো-বাতাস আসার বড় উৎসই হলো ঘরের জানালা। আবার মানসিক প্রশান্তির জায়গাও হলো ঘরের জানালাগুলো। তাই এর সাজও হতে হবে এমনভাবে, যাতে করে অন্য বিষয়গুলোও বাধা না পায়। আগে শুধুমাত্র পর্দাকেই জানালার সাজ মনে করা হতো। তবে সেই ধারণা এখন পুরোনো। প্রাইভেসি রেখেই জানালার সাজ হতে পারে ভিন্ন প্রকৃতির।
পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখা
খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে আলো বাতাস চলাচলের পথটি যেনো বন্ধ না হয়। জানালা সাজানোর অনুষজ্ঞ হতে হবে ছোট কিংবা মাঝারি। বড় আকারের শোপিস কিংবা গাছ দেখতে সুন্দর হলেও জানালার ঠিক সামনে রাখা মোটেও উচিত হবে না।
জানালার কাচে রঙ করা
জানালার সাদা কাচ অনেক সময় একঘেয়েমি বয়ে নিয়ে আসে। তাই কালার পেন দিয়ে কাচে করা যায় রঙ। ফুল, লতা কিংবা দৃশ্য- সবই মানানসই হতে পারে জানালার কাচে।
পর্দায় আনতে হবে ভিন্নতা
জানালার পর্দা মানেই যে ভারি কোনো রকম পর্দা হতে হবে, তা কিন্তু নয়। পর্দা হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন ফেব্রিকেরও। ভারি পর্দার পাশে পাতলা পর্দা অবশ্যই আধুনিক লুক দেবে। আবার এক কালার ও প্রিন্ট দুই ধরনের পর্দার মিশ্রণে জানালা সাজানো যেতে পারে। সব এক রকম রং ব্যবহার না করে গাঢ় ও হালকা, এভাবে সাজালে ঘরের সৌন্দর্য আরও বাড়বে।
জানালার কার্নিশ সাজানো
যাদের জানালার সামনে কার্নিশের জায়গা রয়েছে, তারা অনায়াসেই ছোট পটেও ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন। আবার চাইলেই মাটির, সিরামিকের কিংবা মেটালের শোপিসও রাখা যায়।
জানালায় গাছের লতা দিয়ে সাজানো
যারা ঘরের মধ্যে সবুজের আবহ পছন্দ করেন, তারাও বেছে নিতে পারেন জানালা। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, জানালায় ঝুলন্ত গাছের মাত্রা যেনো অতিরিক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ হলো এতে করে ঘরের আলো কমে যাবে। পাতাবাহার কিংবা ঝুলন্ত ইনডোর গাছগুলো পৃথক করবে জানালাকে।
জানালার পাশের দেওয়াল
জানালার চারপাশের জায়গাটুকুও হতে পারে সাজের অংশ। একে জানালার চারপাশের দেওয়াল বর্ডারও বলা যেতে পারে। যেহেতু এই জায়গা খুব বেশি একটা বড় নয়, তাই এখানে বেশি সাজালে খুব একটা ভালো দেখাবে না। এখানের সাজ হতে হবে মার্জিতভাবে। ছোট আকারের ফ্রেম করা ছবি কিংবা ছোট ছোট সুতার কিংবা কাপড়ের পুতুল ঝুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
জানালার পাশের ডিভান
ঘর সাজাতে ডিভানের ধারণাটি নতুন। ডিভান ঘরের কোনার অব্যবহৃত জায়গাতেই বেশি রাখা হয়ে থাকে। ঘরের সেই কোনা সাজানো হয় অনেকটা রঙিন করে। একটু বড় বাড়িতে জানালার সামনের জায়গাটিতে ডিভান দিয়ে সহজেই দৃষ্টিনন্দন এবং আরামদায়ক জায়গা তৈরি করা যাবে। বৃষ্টি দেখতে কিংবা পছন্দের বই পড়তে চা হাতে বসে যেতে পারেন এই ডিভানে। বিছাতে পারেন রঙিন চাদর ও সঙ্গে থাকতে পারে আরাম করে বসার জন্য কুশন কিংবা বালিশ। সে ক্ষেত্রে চাদর ও বালিশে থাকতে হবে বৈপরীত্য, অর্থাৎ চাদর সাদা হলে তার ওপর ফুটে ওঠে এমন হলুদ, লাল কিংবা কমলা রঙের কুশন কাভার ভালো লাগবে।
রাতে জানালার সৌন্দর্য বাড়াতে ইচ্ছে করলে ভিন্নধর্মী লাইটেও সাজাতে পারেন। আবার চাইলে গাছের মধ্যেও দেওয়া যায় কৃত্রিম মোম কিংবা হালকা আলো দেখায় এমন লাইট, যা আজকাল অনলাইনেও কিনতে পাওয়া যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।