দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতে কখনও অযোধ্যার বাবরি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে কখনওবা কোনো রাজ্যে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ করে মুসলমানদের উপর নানা অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়। তবে সেই উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় এক অনন্য নজির স্থাপিত করা হয়েছে। এবার সেখানকার হিন্দুরা কুরআনের হাফেজকে গ্রামপ্রধান করলেন!
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে অযোধ্যার রাজনপুর গ্রাম থেকে জয়ী হয়েছেন একজন মুসলিম প্রার্থী। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামটির বাসিন্দারা একজন কুরআনের হাফেজ আজিম উদ্দিনকে তাদের গ্রাম প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।
মজার বিষয় হলো, রাজনপুর গ্রামে হাফিজ আজিম উদ্দিনের পরিবারই হলো একমাত্র মুসলিম পরিবার। তারপরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন হাফেজ আজিম উদ্দিন। আজিম উদ্দিন অযোধ্যার রুদাউলি সংসদীয় আসনের রাজনপুর গ্রামের মাবাই ব্লকের বাসিন্দা।
এই নির্বাচনের ফলই বলে দিচ্ছে যে, মানুষজন এখনও ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকেন। এই গ্রাম বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ভ্রাতৃত্ববোধের এক জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে হাফেজ আজিম উদ্দিন বলেছেন, ‘গ্রামবাসীর ভালোবাসা এবং সমর্থন আমাকে শক্তি দিয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে। অবশেষে আমি জয়ী হয়েছি। আমাদের গ্রামে সব সময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। আমরা গ্রামবাসীরা সবাই যেনো একটি বড় পরিবারের সদস্য। আমাদের গ্রামে ৩টি মন্দির রয়েছে। আমি জানতে পেরেছি গ্রামবাসী আমার জয়ের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়াও করেছেন এবং অনেকেই রোজাও রেখেছেন। আমার প্রতি তাদের এতো ভালোবাসা যে আমার জয়ের পরই তারা পানি এবং খাবার খেয়েছেন।
‘আমার বাবাও এক দশক আগে এখানকার গ্রাম প্রধান ছিলেন। আমার দুই ভাই এখন বাহিরে রয়েছে এবং অন্য আরেকজন শিক্ষক,’ জানিয়েছেন আজিম উদ্দিন।
তিনি আরও জানান, এই গ্রামে সব উৎসব সমান উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয়ে থাকে। আমি গ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ও তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, তারা যে উন্নয়ন আশা করেন, তা এখনও দেখতে পাবেন।
তবে গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন ও নতুন নির্বাচিত প্রধান এবং এড়িয়া পঞ্চায়েত সদস্যদের শপথ গ্রহণ করোনা ভাইরাস বিস্তৃতির জন্য আপাতত স্থগিত রয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।