দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুরগি ডিম পাড়ে সেটিই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু এবার আজব এক কাণ্ডের খবরে মানুষের চক্ষু চড়কগাছ! এবার নাকি মুরগি নয়, মোরগই পাড়ছে ডিম!
আমরা সবাই জানি মোরগ ও মুরগীর মধ্যে কেবলমাত্র ডিম পাড়ার কাজটি করে থাকে মুরগী, সৃষ্টির শুরু থেকেই এটি হয়ে আসছে। পৃথিবীর কোনও দেশের মোরগ-মুরগীই এই নিয়মের বাইরে নয়! তবে এবার এই প্রাকৃতিক নিয়ম ভেঙ্গে মুরগীর পরিবর্তে ডিম পেড়েছে এক মোরগ!
এমন একটি সংবাদ শুনে চোখ কপালে উঠাই স্বাভাবিক। তবে এই বিস্ময়কর ঘটনাটি সত্যিই ঘটেছে চীনের আনহুই প্রদেশের মেঙচেঙ সিটির চুমিয়াও গ্রামের ছোট্ট এক পারিবারিক খামারে।
এই পারিবারিক খামারটির মালিক ৪৭ বছর বয়সী হুয়াঙ লি। তিনি ৭টি মুরগীর সঙ্গে খাঁচায় মোরগটিকেও পুষে আসছিলেন।
তিনি জানিয়েছেন যে, পরিবারের খাদ্য তালিকায় আমিষের যোগান দিতে গিয়ে সারা শীতে তার পালিত মুরগীগুলো একে একে খেয়ে ফেলার পর অবশিষ্ট ছিল ওই মোরগটি। তবে ডিম-পাড়া কাণ্ডের আগে যথারীতি এই মোরগটিকেও জবাই করারই কথা ছিল। তবে তার চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় মুরগীবিহীন মোরগের খাঁচায় একটি ডিম দেখতে পাওয়ার পর!
এই বিষয়ে লি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ঘটনাটিকে প্রথমদিন মনে করেছিলাম যে, এই কাজটি হয়তো মজা করার জন্য পড়শিরা করেছেন! তবে দ্বিতীয় দিনও আবারও ঘটলো একই ঘটনা অর্থাৎ মোরগের খাঁচায় আরও একটি ডিম দেখতে পেলাম!
সে কারণে তৃতীয় দিন আমি অপেক্ষা করছিলাম কি হয় সরাসরি দেখার জন্য। বিস্মিত হলাম যখন দেখলাম মোরগটি তৃতীয় বারের মতো ডিম পাড়লো!
কয়েকদিনের মধ্যেই আজব এই খবরটি এলাকার একটি টেলিভিশন স্টেশনে চলে গেলো। মোরগের ডিম পারার অভিনব বিষয়টি নিয়ে টিভি চ্যানেলটি একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করলো।
স্থানীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অফিস হতে কয়েকজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ এসে হুয়াঙ লি’র কাছ থেকে কয়েক দিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মোরগটিকে ধার নিয়ে গেলেন।
‘প্রথম থেকেই এটি একটি মুরগী ছিল? নাকি দেখতে অবিকল মোরগের মতো ছিল অথবা মোরগ থেকে এটি ধীরে ধীরে এটি এখন মুরগীতে রূপন্তিরিত হয়েছে’- এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা চালাবেন।
মোরগের ডিম পাড়ার বিষয়ে লি`র মন্তব্য হলো, ঘটনার পর আমার কাছে প্রতিটি সকালই ছিলো যেনো এক একটি বিস্ময় ছাড়া অন্য কিছু নয়!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।