দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ফলের রাজা আম। আম ছাড়া গ্রীষ্মকাল যেনো কল্পনাই করা যায় না। আমে এক কামড় দিলেই বোঝা যায় কেনো বিশ্ব জুড়ে আম নিয়ে মানুষ এত মাতামাতি করে। আজ জেনে নিন আম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
‘ফলের রাজা’ আমকে ভালোবাসার বিভিন্ন কারণও রয়েছে। অ্যালেক্সান্ডার থেকে শুরু করে মুগল সম্রাট জাহাঙ্গীর- সকলেরই আমপ্রীতির গল্প আমরা জেনেছি। আম সম্পর্কে কয়েকটা তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো যা সকলের জানা প্রয়োজন।
# আম অন্যতম একটি প্রাচীন ফল। অনেকেই দাবি করেন যে, ৫ হাজার বছর পূর্বে ভারতে প্রথম আম উৎপাদন হয়। আবার এও শোনা যায় যে, মায়ানমার সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বের পার্বত্য অঞ্চলই হলো আমের প্রধান উৎসস্থল।
# বৌদ্ধরা নাকি আম অত্যন্ত পছন্দ করে। আমকে তারা পবিত্র বলে মনে করেন, কারণ তাদের ধারণা বুদ্ধ প্রায় সময় আম বাগানে বিশ্রাম নিতেন। পরস্পরকে দেওয়ার জন্য আমকে সেরা উপহার বলেই গণ্য করা হয়। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা তাদের দীর্ঘ অভিযানের সময় নিজেদের সঙ্গে আম বহন করতেন।
# শোনা যায় মিষ্টি সুস্বাদু এই ফল অ্যালেক্সান্ডার দা গ্রেটেরও অত্যন্ত পছন্দের একটি ফল। গ্রিসে ফেরত যাওয়ার সময় তিনি বেশ কিছু আম সঙ্গে করে নিয়ে যান।
# দক্ষিণ ভারতে তামিল ভাষায় আমকে আম-কায় নামে অভিহিত করা হতো। পরবর্তীকালে তা মাম-কায় নামেই পরিচিত হয়। তারপর তার নাম দেওয়া হয় মাঙ্গা। পর্তুগীজরা শেষমেশ ‘ম্যাঙ্গো’ নামকরণ করে যা পরবর্তীকালে বিখ্যাত হয়ে যায়।
৫. হিন্দু শাস্ত্রে আম সম্পর্কে বিভিন্ন গল্পকথারও প্রচলন রয়েছে। অন্যতম এক প্রাচীন পুরাণে সূর্য দেবতার কন্যা হিসাবে আমকে চিহ্নিত করা হয়।
# ‘এ হিস্টোরিকাল ডিক্সনারি অফ ইন্ডিয়ান ফুড’ বই অনুসারে পর্তুগীজরা প্রথম আমের চাষ শুরু করেন। তারপর তারা ফেরত যাওয়ার সময় আমের বীজ তখন সংগ্রহ করে নিয়ে যান এবং বিভিন্ন দেশে তা ছড়িয়েও দেন। এভাবেই দেশে বিদেশে আমের ফলন শুরু হয়েছিলো।
# মুগল সাম্রাজ্যে আম শুধুমাত্র রাজ পরিবারের বাগানেই চাষ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। এরপর শাহজাহান রাজ পরিবারের বাইরে আমের চাষ করার অনুমতিও দেন বলে জানা যায়।
# জানা যায়, সম্রাট জাহাঙ্গীরও আমের অত্যন্ত ভক্ত ছিলেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।